জঙ্গলমহলে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক জনসভা, জনজোয়ার সামাল দেওয়াই চ্যালেঞ্জ

দলের বর্ষীয়ান নেতা, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক শান্তিরাম মাহাতো বলেন, আমাদের ধরে নিতে হবে দু লক্ষের বেশি মানুষ আসবেন

Must read

ব্যুরো রিপোর্ট : জঙ্গলমহলের তিন জেলা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক ও জনসভা। হাতে সময় নেই। বৃহস্পতিবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক জনসভা রয়েছে পুরুলিয়া মফসসল থানার হুটমুড়া ময়দানে। সভায় লক্ষাধিক মানুষ আসবেন উন্নয়নের বার্তা শুনতে। সেই বিপুল জনতাকে কীভাবে স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়া যাবে, কীভাবে শৃঙ্খলা রাখা যাবে, তা স্থির করতে প্রস্তাবিত সভাস্থলে গিয়ে খতিয়ে দেখলেন তৃণমূল পুরুলিয়া জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া, সোমবার সকালে। সঙ্গে ছিলেন হুটমুড়ার বাসিন্দা, জেলা তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি শেখ রহমামিন।

আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্পই করছে রেল

সভাস্থলে দাঁড়িয়ে সৌমেন বলেন, সভাটি সরকারি হলেও যাঁরা পরিষেবা তালিকায় নেই, তাঁরাও আসবেন। এই ময়দানে আগেও মুখ্যমন্ত্রীর সভা হয়েছে। ফলে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী আকাশপথে সভাস্থলে আসছেন। পুরুলিয়ায় সভা করেই বাঁকুড়া চলে যাবেন। সভায় রাস্তানির্মাণ, পুকুরসংস্কার, জমির উন্নয়ন ইত্যাদি পঞ্চাশটিরও বেশি প্রকল্পের শিলান্যাস বা উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। থাকবে বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে সুবিধাদান। এ ছাড়া রঘুনাথপুর শিল্পতালুকে শিল্পায়ন নিয়েও নতুন বার্তা দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন-মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকে নিরাপত্তা

দলের বর্ষীয়ান নেতা, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক শান্তিরাম মাহাতো বলেন, আমাদের ধরে নিতে হবে দু লক্ষের বেশি মানুষ আসবেন। মুখ্যমন্ত্রী আসা মানেই স্বপ্নপূরণ। এটা মনে রাখতে হবে।
পুরুলিয়া সফর সেরে দুদিনের সফরে বাঁকুড়া আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। ১৬ ফেব্রুয়ারি, বিকেলে তাঁর পুরুলিয়া থেকে আসার কথা। তাই বাঁকুড়ার স্টেডিয়ামে হেলিপ্যাডে হল মহড়া। রাতে বাঁকুড়া সার্কিট হাউসে থাকবেন। পরদিন বাঁকুড়া দু নম্বর ব্লকের বলরামপুরে হবে সরকারি পরিষেবা প্রদান সভা। মুখ্যমন্ত্রীর আগমন নিয়ে বাঁকুড়া শহর জুড়ে সাজ-সাজ রব।

Latest article