সংবাদদাতা, দিঘা : মে দিবস, ইদ, অক্ষয়তৃতীয়ার ছুটি গিয়েছে। সামনে ৯ মে রবীন্দ্রজয়ন্তী। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ। চলছে গরমের ছুটি। ফলে পর্যটকের ঢলের আশা করেছিলেন সৈকত শহর দিঘা, তাজপুর এবং মন্দারমণির হোটেল মালিকেরা। কিন্তু তাঁদের আশায় বাদ সেধেছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ইতিমধ্যে আন্দামান সাগরে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত, যা নিম্নচাপে পরিণত হবে। ফলে মধ্য বঙ্গোপসাগর পেরিয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগরে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’।
আরও পড়ুন-জলকন্যা সায়নীর পরের লক্ষ্য কুক স্ট্রেইট
দিঘা-সহ উপকূল এলাকায় ১০ মে যা আছড়ে পড়তে পারে। এর আপাতত যা গতিমুখ, তাতে ওড়িশার চাঁদিপুর ও দিঘার মাঝে আছড়ে পড়তে পারে। দিঘায় তখন বাতাসের গতিবেগ হবে প্রায় ঘণ্টায় ৫০ কিমি। ফলে সমুদ্রে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা। ফলে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে প্রশাসন। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, নুলিয়া ও কোস্টাল পুলিশকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মৎস্যজীবী-সহ পর্যটকদের সতর্ক করা নিয়েও প্রশাসনিকস্তরে আলোচনা চলছে। শেষ পর্যন্ত ঝড়ের গতিপ্রকৃতি কোন দিকে যায়, সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছেন সবাই।
আরও পড়ুন-উন্নত স্বাস্থ্য-পরিষেবা দিতে আগ্রহী বিধায়ক
হোটেল মালিকদের দাবি, বেশ ভিড় হচ্ছিল। বুকিংও ভাল হচ্ছিল। কিন্তু এই নিম্নচাপের রেশ পরের সপ্তাহের বুকিংয়ে প্রভাব ফেলতে পারে। দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, “বুকিং বাতিলের ভয় রয়েইছে। শুধু প্রার্থনা করছি, নিম্নচাপ যেন ভালয় ভালয় সরে যায়। পর্যটনে তেমন প্রভাব না পড়ে।”