প্রতিবেদন :ভোটের দিন ঘোষণার আগেই রাজ্যে এসে পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী, যার জেরে ব্যাহত স্কুলের পঠন-পাঠন। এবার এই নিয়েই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। জানালেন প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে (election commission) চিঠি দেবে শিক্ষা দফতর। এই ভাবে দীর্ঘদিন পঠন-পাঠন বন্ধ করে রাখা যায় না কোনওভাবেই।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বিরোধীদের বুকে কাঁপন ধরিয়েছে
লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা এখনও করেনি কমিশন। কিন্তু কেন্দ্রের তুঘলকি আচরণ ও খামখেয়ালিপনার জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসেছে ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। আরও ৮২০ কোম্পানি আসার কথা। এই সব কিছুর মধ্যেই বন্ধ হয়েছে স্কুলের ক্লাস। উত্তর কলকাতার বেথুন কলেজিয়েট স্কুল ছাড়াও আনন্দপুর হাইস্কুল, মেটিয়াবুরুজ, যাদবপুর, তিলজলার বিভিন্ন স্কুলে বন্ধ রাখা হয়েছে ক্লাস। কিছু জায়গায় সময় সীমাও কমিয়ে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন-ডেবরার প্রস্তুতিসভায় লোকসভা ভোটে একজোট হয়ে লড়ার বার্তা দিলেন সুব্রত
ভোটের দিন ঘোষণার আগেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে আসায় ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ভোটের দিন এখনও ঘোষণা হয়নি। এত তাড়াহুড়ো কীসের বুঝতে পারছি না। পঠন-পাঠনে অসুবিধা হচ্ছে। প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেব। কেন্দ্রীয় বাহিনী আসা নিয়ে অসন্তুষ্ট খোদ মধ্যশিক্ষা পর্ষদও। পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, আমরা স্কুল বন্ধের বিষয়ে কিছুই জানতাম না। অনির্দিষ্টকালের জন্য তো স্কুল বন্ধ করা যায় না। সত্যি এটা বাস্তব হয় তাহলে অবশ্যই পড়াশোনায় একটা বিঘ্ন ঘটাবে। এই নিয়ে একটা পর্যালোচনা করতে হবে।