উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) ক্রমেই অপরাধের শীর্ষে পৌঁছে যাচ্ছে। খুন থেকে শুরু করে যৌন বিকৃতি (sexual perversion) কিছুই বাকি থাকছে না। এবার কবর থেকে শিশুর দেহ তুলে যৌন হেনস্থার ঘটনা প্রকাশ্যে এল। নাবালিকা কন্য়ার বাবা উত্তরপ্রদেশের দশাশ্বমেধ এলাকায় থাকেন। এদিন তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান অসুস্থ হয়ে তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছিল। তিনি বারাণসীর রেওয়ারি তালাব এলাকায় তার কন্যাকে সমাধিস্থ করেন। পরের দিন সন্দেহ হওয়ায় তিনি ওই এলাকায় গিয়ে দেখেন তার মেয়ের কবরটি খোঁড়া। সেখান থেকে উধাও মৃতদেহ। স্বাভাবিকভাবেই এই জাতীয় ঘটনার পরেই এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। দেহের খোঁজ শুরু হতে বেশ কিছুক্ষন পর দেখা যায় মহম্মদ রফিক নামে ৩০ বছরের এক যুবক তার মেয়ের দেহের পাশে শুয়ে রয়েছে। অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় ছিলেন ওই যুবক। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার আরএস গৌতম এই মর্মে জানান রফিককে গ্রেফতার করা হয়। যুবকের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কাশীর আদলে হতে চলেছে দেব দীপাবলি উৎসব
সূত্রের খবর, উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে মেয়েটি মারা যাওয়ার পর সকলের আড়ালে কবরখানায় ঢুকেছিল এই যুবক। কবর খুঁড়ে পাঁচ বছর বয়সি মেয়েটির দেহ তুলে আনে সে। পুলিশ গিয়ে দেখে ওই শিশুর দেহের পাশে শুয়েছিল যুবক। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছিল যে তারা খতিয়ে দেখছে ওই ব্যক্তি দেহের সঙ্গে যৌনাচার করেছে কি না। দেহটির ময়নাতদন্ত করা হয়। সেখানে দেখা যায় শিশুটিকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছিল। সরকারি হাসপাতালে এই ময়নাতদন্ত করেন তিনজন চিকিৎসকের প্যানেল। প্যানেলের পক্ষ থেকে এই যৌন হেনস্থার পেছনে কারা রয়েছে সেটা জানা প্রয়োজন বলেই জানিয়েছে। অভিযুক্তের সঙ্গে ডিএনএ মিলিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে তারা পুলিশকে।
আরও পড়ুন-মঙ্গলবার থেকে বিশ্ব-বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন, নিউটাউন চত্বরে কড়া নিরাপত্তা
পুলিশের তরফে খবর, আদালতের কাছে আবেদন করা হবে যুবকের ডিএনএ মিলিয়ে দেখার ব্যবস্থা করার জন্য। ওই যুবক ছাড়া আর কেউ এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ যুক্ত কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিন্তু এই যুবক এই কাণ্ড কেন ঘটালেন সেটাও দেখা হচ্ছে।