প্রতিবেদন : উৎসবের মরশুমে চিন্তা বাড়াচ্ছে কোভিড ১৯-এর নতুন উপরূপ জেএন.১। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৭৫২ জনের সংক্রমিতের খোঁজ মিলেছে। সারাদেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৪২০। মৃতের সংখ্যা ৬। মৃতদের মধ্যে তিনজন কেরলের বাসিন্দা, কর্নাটকের দু’জন এবং পাঞ্জাবের একজন রয়েছেন। পাশাপাশি তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, গোয়া, গুজরাট, তেলেঙ্গানা, পাঞ্জাব এবং দিল্লিতেও বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। খুব স্বাভাবিক ভাবেই আশঙ্কার পাশাপাশি টিকা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা। এবারের ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে এর টিকা বা বুস্টার ডোজ প্রয়োজন হবে কি? প্রশ্ন সাধারণ মানুষের। এই বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিলেন দেশের কোভিড প্যানেলের প্রধান এন কে অরোরা।
আরও পড়ুন-পর্তুগিজ চার্চে প্রার্থনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, পাশে ডেরেক
কোভিডের নতুন উপরূপকে ঘিরে বাড়ছে ধোঁয়াশা। কারণ আলাদা করে এই রোগে আক্রান্তদের চিহ্নিতকরণের কোনও লক্ষণ পাওয়া যাচ্ছে না। এর ফলে সমস্যা আরও বাড়ছে। সর্দি- কাশি-জ্বর ঘরে ঘরে লেগেই আছে। কিন্তু তার মধ্যে কোনটা এই মারাত্মক ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে হচ্ছে সেটা টেস্ট না করা পর্যন্ত প্রাথমিক স্তরে বোঝার কোনও উপায় নেই। ইতিমধ্যেই অনেকে বলছেন আবার টিকা নিতে হবে। ইন্ডিয়া-সারস-সিওভি২ জিনোমিক কনসোর্টিয়ামের প্রধান এন কে অরোরা এই বিষয়ে বিশদ ব্যাখ্যা দিয়েছেন। রবিবার সংবাদ সংস্থাকে তিনি জানান, এই মুহূর্তে কোভিডের নতুন উপরূপ জেএন.১-এর জন্য কোনও আলাদা টিকার প্রয়োজন নেই। তবে সতর্ক থাকতে হবে সকলকে। ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি থেকে শুরু করে যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে, বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাসকারী কোনও ওষুধ খেতে হয়, তাঁদেরও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তবে এইমুহূর্তে আলাদা প্রতিষেধকের প্রয়োজন নেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট খুব একটা জোরালো সংক্রমণ বিস্তার করতে পারছে না।