বিশ্বের প্রাচীনতম
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ পার্ক সিটি। জনবহুল এই শহরে অবস্থিত কলেজ পার্ক বিমানবন্দর। এটাই বিশ্বের প্রাচীনতম বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দরটি ১৯০৯ সালের অগাস্ট মাসে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পিছনে বড় ভূমিকা ছিল ইউনাইটেড স্টেটস আর্মি সিগন্যাল কর্পসের। শুরুর দিকে ছিল উইলবার রাইটের প্রশিক্ষণের জায়গা। সরকারের দুই সামরিক অফিসার ছিলেন এই প্রশিক্ষণের আওতায়। তাঁরা হলেন লেফটেন্যান্ট ফ্রেডেরিক হামফ্রেস এবং ফ্রাঙ্ক লাহম। হামফ্রেস প্রথম সামরিক পাইলট হিসেবে একটি সরকারি বিমান একা উড়িয়েছিলেন। মিসেস রাল্ফ হেনরি ভ্যান ডেম্যান প্রথম মহিলা হিসেবে এখান থেকে বিমান ওড়ান। ১৯১১ সালের ডিসেম্বরে এই বিমানবন্দর থেকে উড়ে যায় প্রথম অসামরিক বিমান। রচিত হয় নতুন ইতিহাস। ১৯৭৭ সালে, বিমানবন্দরটিকে ঐতিহাসিক জায়গা হিসেবে জাতীয় নিবন্ধনে যুক্ত করা হয়। দিনে দিনে এই বিমানবন্দরের গুরুত্ব বেড়েছে। বেশ কয়েক বছর আগেই পেরিয়েছে শতবর্ষ। পাবলিক বিমানবন্দরটি আজও উন্নত পরিষেবা দিয়ে চলেছে।
আরও পড়ুন-নওদায় অধীরকে গো–ব্যাক স্লোগানে বিক্ষোভ তৃণমূলের, বাধা অনুগামীদের
তবে বিশ্বের প্রথম বিমানবন্দর হিসেবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক পরিষেবা দিয়েছিল ইংল্যান্ডের লন্ডন হউনস্লো হিথ বিমানঘাঁটি। প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯১৯ সালে। তবে ১৯২০ সালের মার্চ মাসে বন্ধ হয়ে যায়। ১৯২৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার ডগলাস পুর বিমানবন্দরটি আমেরিকার প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে পথচলা শুরু করে।
ভারতের প্রাচীনতম
১৯২৪ সালে ক্যালকাটা এরোড্রোম হিসাবে বর্তমান নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠিত হয়। কলকাতার এই বিমানবন্দরটি দেশের প্রাচীনতম বিমানবন্দর। দমদমে রয়্যাল আর্টিলারির পাশের একটি খোলা মাঠ নিয়ে বিমানবন্দর শুরু হয়। শুরুর দিকে ইউরোপ থেকে ইন্দোচিন ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বিমান পথের কৌশলগত যাত্রাবিরতি কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। বাংলার গভর্নর স্যার স্ট্যানলি জ্যাকসন ১৯২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দমদম ক্যালকাটা এরোড্রোমে বেঙ্গল ফ্লাইং ক্লাবটি খোলেন। ১৯৩০ সালে বিমানবন্দরটি ব্যবহারের উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়। অন্যান্য বিমানসংস্থাও বিমানবন্দরটি ব্যবহার করতে শুরু করে। এয়ার ওরিয়েন্ট প্যারিস-সাইগন রুটের অংশ হিসাবে কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ শুরু করে। ইম্পেরিয়াল এয়ারওয়েজ ১৯৩৩ সালে কলকাতা বিমানবন্দর হয়ে লন্ডন থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়ায় যাত্রা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কলকাতা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ১৯৪২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি এয়ার ফোর্সের ৭ম বোম্বারমেন্ট গ্রুপ বার্মার বিরুদ্ধে যুদ্ধ অভিযানে এই বিমানবন্দর থেকে বি-৪২ লিবারেটর বোমা নিয়ে উড়ে যেত। বিমানবন্দরটি এয়ার ট্রান্সপোর্ট কমান্ডের জন্য একটি মালবাহী বন্দর হিসেবে এবং দশম বিমানবাহিনীর যোগাযোগ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কলকাতা বিমানবন্দরে যাত্রী পরিষেবা বেড়ে যায়। এই সময় ব্রিটিশ ওভারসিজ এয়ারওয়েজ কর্পোরেশন লন্ডন থেকে কলকাতা রুটের বিশ্বের প্রথম জেট-চালিত যাত্রী বিমান, ডি হাভিল্যান্ড কমেট-এর পরিচালনা শুরু করে। ঊনবিংশ শতাব্দীর ষাটের দশকে কলকাতায় দীর্ঘতর বিমানের প্রবর্তন এবং সমসাময়িক রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিমানসংস্থাগুলি তাদের উড়ান পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে কলকাতায় উদ্বাস্তু ও রোগী উভয়েরই ব্যাপক বৃদ্ধি ঘটেছিল। যার ফলে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে আরও অনেক বিমান সংস্থার পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭৫ সালে বিমানবন্দরটি ভারতের প্রথম উৎকৃষ্ট কার্গো টার্মিনাল পরিষেবা শুরু করে। ঊনবিংশ শতাব্দীর নয়ের দশকে ভারতীয় বিমান পরিবহণ শিল্পে জেট এয়ারওয়েজ ও এয়ার সাহারার মতো নতুন বিমান সংস্থাগুলি পা রাখার ফলে কলকাতা বিমানবন্দর নতুন ভাবে পরিষেবা দিতে শুরু করে। আন্তর্জাতিক টার্মিনালটিকে টার্মিনাল ১ হিসাবে চিহ্নিত করে ১৯৯৫ সালে অভ্যন্তরীণ বিমান পরিষেবার জন্য টার্মিনাল ২ উদ্বোধন করা হয় এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নামে এই বিমানবন্দরটি নামাঙ্কিত করা হয়। ২০০০ সালে চালু করা হয় একটি নতুন আন্তর্জাতিক আগমন কক্ষ।
আরও পড়ুন-তৃণমূল সিমেন্ট শ্রমিক সংগঠনের নির্বাচনী সভায় মানুষের জোয়ার
এবার আসা যাক মুম্বইয়ের জুহু বিমানবন্দরের কথায়। আয়তনে খুব বড় নয়। তবে এই বিমানবন্দরটি সুপ্রাচীন। ঐতিহ্য রয়েছে। এটা ভারতের প্রথম সিভিল এভিয়েশন এয়ারপোর্ট। ১৯৩২ সালে, জেআরডি টাটা জুহু এরোড্রোমে অবতরণ করেন। তার আগে, ১৯২৮ সালে ভারতের প্রথম বেসামরিক বিমান চলাচল ঘাঁটি হিসাবে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। জুহু বিমানবন্দর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এবং আগে মুম্বই শহরের প্রধান বিমানবন্দর হিসেবে কাজ করেছিল। যতদিন না সান্তাক্রুজ বিমানবন্দর চালু হয়, ততদিন ছিল যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্বের বৃহত্তম
ইতিহাসের পাতায় নাম তোলা বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সৌদি আরবের পূর্ব দিকের দাম্মাম শহরে অবস্থিত। এই বিমানবন্দরের ভিতরে সিঁধিয়ে যাবে গোটা বাহারিন। সৌদির প্রতিবেশী তথা মধ্য প্রাচ্যের ছোট্ট এই দেশটিতে রয়েছে একটি বিমানবন্দর ও ২টি বায়ুসেনা ঘাঁটি। কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়ান ওঠানামার জন্য রয়েছে দুটো রানওয়ে। বিশ্বের আর কোনও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই সুবিধা নেই। মধ্য এশিয়ার দেশগুলি ছাড়াও এই বিমানবন্দর থেকে ইউরোপ, দূর প্রাচ্য, আফ্রিকা ও এশিয়ার অন্যান্য দেশে যাওয়ার বিমান ছাড়ে। মালবাহী ও যাত্রিবাহী— দু’ধরনের উড়ান ব্যবহার করে এই বিমানবন্দর।
আরও পড়ুন-উত্তরের ৮ আসনে জিতবে তৃণমূল: অভিষেক
আমরা জানি, খনিজ তেল উত্তোলনে বিশ্বে প্রথম স্থানে রয়েছে সৌদি আরব। এখানকার সৌদি আরামকো দুনিয়ার সর্ববৃহৎ তেল উৎপাদন সংস্থা। এই কোম্পানির জন্য এই বিমানবন্দরে রয়েছে একটি টার্মিনাল। এ-ছাড়াও এখানে রয়েছে মধ্য প্রাচ্যের বৃহত্তম ফ্লাইং স্কুল। বিমান চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই প্রতিষ্ঠানের নাম ‘অক্সফোর্ড সৌদিয়া’। পাইলটের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য যে উড়ানগুলি ব্যবহার করা হয়, সেগুলিকেও এই বিমানবন্দরের মধ্যে রাখার অনুমতি দিয়েছে সৌদি প্রশাসন। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৭৮০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছে কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। অন্যদিকে বাহারিন দেশটির আয়তন ৭৬০ বর্গ কিলোমিটার। অর্থাৎ মধ্য প্রাচ্যের দেশটির তুলনায় ২০ বর্গ কিলোমিটারের বেশি এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছে বিমানবন্দরটি। গত শতাব্দীর নয়ের দশকে উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় এই এলাকায় অস্থায়ীভাবে বায়ুসেনা ঘাঁটি গড়ে তোলে মার্কিন এয়ারফোর্স। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর সেটিকে ফেলে রেখে চলে যায় তারা। পরবর্তীকালে সংস্কার করে সেটিকেই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে তোলে সৌদি প্রশাসন। এ-ব্যাপারে উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা নেন আরব মুলুকের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমান। ১৯৯৯-এর ২৮ নভেম্বর জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে খুলে দেওয়া হয়। বর্তমানে এর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে দাম্মাম এয়ারপোর্ট কোম্পানির হাতে।
আরও পড়ুন-মেয়েদের মুড স্যুইং
বিশ্বের ক্ষুদ্রতম
ক্যারিবিয়ান দ্বীপের সাবা-তে রয়েছে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম বিমানবন্দরটি। এটি একটি বাণিজ্যিক রানওয়ে। নাম জুয়ানচো ইয়ারুস্কিন বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দরের দৈর্ঘ্য মাত্র এক-চতুর্থাংশ মাইল। রানওয়ের গড় দৈর্ঘ্য বিমানের থেকে সামান্য লম্বা। এই কারণেই জেট বিমানকে এই রানওয়ে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একমাত্র উইন্ডো এয়ার নামের এয়ারলাইনই বিমানবন্দরে পরিষেবা দিয়ে থাকে। ১৯৬৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এই বিমানবন্দরের কাজ শেষ হয়। কয়েক বছর ধরে সপ্তাহে একটি ফ্লাইটই যাতায়াত করত। যদিও বর্তমানে প্রতিদিন চারটি চার্টার ফ্লাইট এখান থেকে যাতায়াত করে। পর্যটন বৃদ্ধির কারণেই এই বন্দরে বিমানের যাতায়াত বেড়েছে। এখানে ল্যান্ডিং এবং টেকঅফ করার জন্য অভিজ্ঞতা সম্পন্ন পাইলট হতে হবে। সামান্য অসতর্কতার কারণে বিমান পাথরে ধাক্কা খেতে কিংবা সমুদ্রে পড়ে যেতে পারে। জেট প্লেনের জন্য বড় রানওয়ের দরকার। সেই কারণেই জেট প্লেন এখানে আসতে পারে না।
ভারতের বৃহত্তম
তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদ রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আয়তন ৫৪৫৯ একর। আয়তনের দিক থেকে এটাই ভারতের বৃহত্তম বিমানবন্দর। প্রতিদিন ৫৫০০ বিমান চলাচল করে। আছে সব রকমের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। নতুন দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিমান চলাচল কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। আয়তন ৫১০৬ একর। এখানেই রয়েছে দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে। যাত্রী-প্রবাহের দিক থেকে এটাই এশিয়ার বৃহত্তম বিমানবন্দর। এখানে রয়েছে সবরকমের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। আছে বৈচিত্র্যময় কেনাকাটা এবং খাবারের জায়গা।
আরও পড়ুন-তৃণমূল সিমেন্ট শ্রমিক সংগঠনের নির্বাচনী সভায় মানুষের জোয়ার
ভারতের ক্ষুদ্রতম
মেঘালয় রাজ্যের প্রায় ৩৩ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত বালজাক বিমানবন্দর। তুরা বিমানবন্দর নামেও পরিচিত। এটা ভারতের সবচেয়ে ছোট বিমানবন্দর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এর রানওয়ের দৈর্ঘ্য মাত্র এক কিলোমিটার। মূলত ২০-সিটের ডর্নিয়ার ২২৮ বিমানের জন্য এই বিমানবন্দরটি ডিজাইন করা হয়েছিল। ছোট বিমান ওঠানামার জন্য আদর্শ বিমানবন্দর।
ভারতের ব্যস্ততম
বিমানবন্দর পরিবহণের ক্ষেত্রে দিল্লি ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দেশের মধ্যে এক নম্বরে রয়েছে। আর হবে না-ই বা কেন? দিল্লি যে ভারতের রাজধানী। এই বিমানবন্দরে রয়েছে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম টার্মিনাল। বর্তমানে তিনটি টার্মিনাল এবং তিনটি রানওয়ে রয়েছে, যার মধ্যে একটি দেশের দীর্ঘতম অর্থাৎ প্রায় ৪৪৩০ মিটার পর্যন্ত দীর্ঘ। এটা প্রযুক্তিগত ভাবে সবচেয়ে উন্নত ভারতীয় বিমানবন্দর।
মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি ভারতের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর। প্রতিদিন প্রায় ৮৫০টি বিমান এখানে চলাচল করতে পারে। এ ছাড়াও এটি ভারতে এবং সারা বিশ্বের যাত্রী-পরিবহণের জন্য বিশ্বের ২৯তম ব্যস্ততম বিমানবন্দর।
বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ভারতের তৃতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর। এখানে একটি টার্মিনাল এবং দুটি রানওয়ে রয়েছে, যা অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক উভয় ফ্লাইট পরিচালনা করে। প্রতিদিন ৬০০টিরও বেশি বিমান এই বিমানবন্দর থেকে নিয়মিতভাবে টেক অফ করে।
চেন্নাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ভারতের চতুর্থ ব্যস্ততম বিমানবন্দর। অবস্থান চেন্নাই থেকে প্রায় ২১ কিলোমিটার দূরে। দুটি টার্মিনাল এবং দুটি রানওয়ে রয়েছে, যা প্রতি দিন প্রায় ৫৭০টি ফ্লাইট ট্রিপ পরিচালনা করে।
আরও পড়ুন-রোশনাই
কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ভারতের ব্যস্ততম বিমানবন্দরগুলির মধ্যে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে। প্রতি বছর ২০ মিলিয়ন যাত্রী এই বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াত করেন। উল্লেখযোগ্য, সম্প্রসারণ এবং আধুনিকীকরণের কারণে এই বিমানবন্দরকে এয়ারপোর্ট কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ‘সবচেয়ে উন্নত বিমানবন্দর’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। পূর্ব ভারতের প্রধান কেন্দ্র কলকাতা হওয়ার দরুন কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বেশ ব্যস্ত এবং উল্লেখযোগ্য একটি বিমানবন্দর।