মা দুর্গার বোধনে মেতে দিল্লিও

Must read

প্রতিবেদন : কলকাতার মতো না হলেও মহাষষ্ঠীর সন্ধ্যাতেই জনজোয়ার রাজধানী দিল্লির (Durga Puja- Delhi) বুকেও। মানুষের ঠাকুর দেখার নেশায় বিকেল থেকেই রীতিমতো স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে দিল্লির ‘মিনি কলকাতা’ বলে খ্যাত চিত্তরঞ্জন পার্কে ঢোকার প্রতিটি রাস্তা। উৎসবমুখর বাঙালি সন্ধ্যা থেকেই তাই প্যান্ডেলমুখী। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ঠাকুর দেখার উৎসাহে একটুও বিরক্তি নেই প্রবাসী বাঙালিদেরও। রাজধানী দিল্লি-সহ আশপাশের এলাকা-সহ ছোট-বড় এবং বাড়ির পুজো মিলিয়ে ৮০০ বেশি দুর্গাপুজো হয়।
পুজো মানেই ভাল খাওয়াদাওয়া। খাসা খানার খাজানা খুঁজে নেওয়া। তা সে কলকাতা হোক কিংবা দিল্লি। তাই বাঙালিদের দুর্গাপুজোয় (Durga Puja- Delhi) যোগ দিয়ে নিজেদের রসনা তৃপ্তিতে মেতেছেন দিল্লির অবাঙালিরাও। চিত্তরঞ্জন পার্কের পুজোয় এলে মনেই হবে না যে কলকাতার বাইরে আছি। চারপাশে বাঙালিদের ভিড়, থিম, মণ্ডপ থেকে শুরু করে মণ্ডপের বাইরে মেলা। সেখানে পশরা সাজিয়ে বসে আছেন দোকানিরা। এক কথায় ছোট্ট একটা কলকাতা। দিল্লিতে যেহেতু দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের মতো টানা ছুটি পাওয়া যায় না সেক্ষেত্রে শুক্রবারে ষষ্ঠী আর শনি, রবি মিলিয়ে দুটো ছুটির দিন দিল্লির বাঙালিদের এবারের পুজোয় বিশেষ পাওনা। এর সঙ্গে বাড়তি সংযোজন প্রায় সমস্ত পুজো প্রাঙ্গণেই আয়োজন হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পঞ্চমীর দিন থেকে শুরু হয় আনন্দমেলা। বিভিন্ন পুজো সমিতির সদস্যরা নিজেরা রান্নাবান্না করে স্টল দেন এবং সদস্য অ-সদস্য নির্বিশেষে টোকেন দিয়ে খেয়ে পেট ও মনের তৃপ্তি করেন প্রবাসী বাঙালিরা। উৎসবের পাঁচটা দিন নিজ নিজ দুর্গাপুজো এবং তৎসংলগ্ন খাবার স্টলগুলোতেই দিনগুজরান হয় দিল্লির বাঙালিদের।

আরও পড়ুন-গুজরাত-সহ পাঁচ রাজ্যে পাঁচ কোটি জবকার্ডের তথ্য গায়েব

Latest article