অনুরাধা রায়: আলপনা। রঙিন কাগজের মালা। মেঝেতে ছড়ানো রঙের কৌটো। শেষ মুহূর্তের তুলির টান। চূড়ান্ত ব্যস্ততা। ল্যাপটপ বন্ধ করে উইকেন্ডে একটাই কাজ, পুজোর (Mexico- Durga Puja) প্রস্তুতি। মেক্সিকো (Mexico- Durga Puja) গুয়াদালাহারার চিত্রটা এখন এমনই। যেন একটুকরো বাংলা উঠে এসেছে সাতসমুদ্রের তেরো নদীরপারে। ১ অক্টোবর পুজো। তাই শনিবার সপ্তাহ শেষে রঙের কৌটো নিয়ে মণ্ডপের ফিনিশিং টাচ দিলেন আইটি কর্মী রিম্পা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন মেক্সিকান বন্ধুরাও। প্রতিমাকে পরানো হল শাড়ি। একসঙ্গে তাঁরা গেয়ে উঠলেন জাগো তুমি জাগো… মেক্সিকান শিল্পীদের হাতে তৈরি সিরামিকের দুর্গা প্রতিমাও সেজে উঠলেন সপ্তাহ শেষেই। ল্যাটিন আমেরিকার সবচেয়ে উত্তরে প্রজাতন্ত্র মেক্সিকোর গুয়াদালাহারা। বাংলার দুর্গাপুজো ইউনেস্কো স্বীকৃতি পেয়েছে তাই এখানে এবারের পুজো আরও জাঁকজমক। জমিয়ে চলছে তোড়জোড়। কলকাতার বেহালার বাসিন্দা উৎসব দাস কর্মসূত্রে রয়েছেন মেক্সিকোয়। গুয়াদালাহারা দুর্গাপূজা কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা তিনি। জানালেন, মেক্সিকোর গুয়াদালাহারা শহরে ১টিই পুজো হয়। এটি মেক্সিকোতে সব থেকে বড় পুজো। সারা সপ্তাহ কাজের চাপ। সময় পাওয়া যায় না, তাই পুজোর সময় সপ্তাহ শেষে ছুটির দিনেই প্রতিমা সাজানো, আলপনার কাজ এগিয়ে রাখি। এবার মণ্ডপ সুন্দর করে সাজিয়েছেন আমার বন্ধুরা। আমিও সামান্য কাজ করেছি ওদের সঙ্গে। বাংলার পুজোর মতো ওখানেও কি রাত জেগে মণ্ডপের কাজ হয়? উৎসব বললেন, ছুটির দিন আমরা অনেক রাত পর্যন্ত মণ্ডপের কাজ করি।