চিরকালীন
পুজোর দিনে আকাশে-বাতাসে ভেসে বেড়ায় সুর। নতুন বাংলা গানের সুর। বরাবর। বড় একটা হেরফের ঘটেনি এই ধারার। চাহিদার কমা-বাড়া, পছন্দ-অপছন্দ, সে-তো অন্য বিষয়। ছিল, আছে, থাকবে। সময় বদলের সঙ্গে সঙ্গেই ঘটে যায় ভাবনার বদল। মোটকথা, পুজোয় নতুন বাংলা গান অতীতেও হয়েছে, এখনও হচ্ছে।
কান পাতুন বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে। শুনতে পাবেন হেমন্ত, মান্না, শ্যামল, নির্মলা, কিশোর, লতা, আশা, শানু, নচিকেতা, ইন্দ্রনীল, শ্রীকান্ত, রাঘব, শুভমিতা, অনুপমদের বেসিক এবং ফিল্মি গান। পাশাপাশি শোনা যাবে চিরকালীন সেই গানগুলো, যেগুলো প্রতিবছর মহালয়ার দিন ভোর চারটের সময় শিউলির গন্ধের মতো ছড়িয়ে পড়ে আকাশবাণী বেতার কেন্দ্র থেকে। হুমম, ‘মহিষাসুরমর্দিনী’র গানগুলোর কথা বলছি। এই গানগুলো বাদ দিয়ে বাঙালির দুর্গাপুজো জাস্ট ভাবাই যায় না। সুপ্রীতি ঘোষের ‘বাজলো তোমার আলোর বেণু’, দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের ‘জাগো দুর্গা’, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের ‘তব অচিন্ত্য’র মূল এবং রিমেক ভার্সন আজও বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে প্রাণসঞ্চার করে চলেছে। এমনিতে সারাবছর বাজেটাজে না। কিন্তু পুজোর এক সপ্তাহ আগে থেকে পুজোর দিনগুলোয় মর্মস্পর্শী এই গানগুলো ছড়ায় অদ্ভুত মাদকতা। শুনে কেউ আনন্দ পায়, কারও হয় আশ্চর্য মনখারাপ। এক-একজনের এক-একরকম অনুভুতি। কথা ও সুরের অলৌকিক মিশ্রণ জড়িয়ে গেছে বাঙালির আবেগ ও অন্তরের সঙ্গে। কানে এলেই মনের মধ্যে জেগে ওঠে তিনটি নাম। বাণী কুমার, পঙ্কজকুমার মল্লিক, বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র। দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ সংগীত-আলেখ্য নির্মাণ করে তাঁরা হয়ে গেছেন অমর। সহজে হয়নি এই সবকিছু।
আরও পড়ুন-পুজোর ছবি
সূচনায় ‘বসন্তেশ্বরী’
যাওয়া যাক অতীতে। ১৯৩০ সালের ১ এপ্রিল। সরকারীকরণের পর ভারতীয় বেতারের নাম হয় ‘ইন্ডিয়ান স্টেট ব্রডকাস্টিং সার্ভিস’। কর্তৃপক্ষ সংগীত বিষয়ক অনুষ্ঠানের উপর গুরুত্ব দিতে শুরু করেন। আশ্চর্য এক মানুষ ছিলেন বাণী কুমার। সারাক্ষণ পাগলের মতো ডুবে থাকতেন নিত্যনতুন পরিকল্পনায়। ১৯৩২ সালের মার্চ মাসে মার্কণ্ডেয় চণ্ডীর বিষয়বস্তু নিয়ে রচনা করেন ‘বসন্তেশ্বরী’। গান বাঁধেন রাইচাঁদ বড়াল। পণ্ডিত হরিশ্চন্দ্র বালী, পঙ্কজকুমার মল্লিক এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। ছিলেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রও। পাঠ করেন নাট্যকথাসূত্র ও গীতাংশ। বাসন্তী ও অন্নপূর্ণা পুজোর সন্ধিক্ষণে প্রথম সম্প্রচারিত হয় অনুষ্ঠানটি। সমাদৃতও হয়েছিল।
আরও পড়ুন-বাংলা সিনেমায় দুর্গাপুজো
বিশেষ প্রত্যুষ অনুষ্ঠান
পরে আরও একটি অনুষ্ঠান তৈরি হয়েছিল। সেটা মহিষাসুর বধের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। একটি গীতি আলেখ্য। ১৯৩৩-এর ১৯ সেপ্টেম্বর মহালয়া তিথিতে সকাল ৬টায় ‘বিশেষ প্রত্যুষ অনুষ্ঠান’ হিসেবে প্রথম সম্প্রচারিত হয়। ছিল হরিশ্চন্দ্র বালী সুরারোপিত ‘অখিল বিমানে’, ‘আলোকের গানে’ এবং সাগির খাঁ সুরারোপিত ‘শান্তি দিলে ভরি’ গানগুলো।
‘মহিষাসুরমর্দিনী’
১৯৩৬ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত হয় ‘মহিষাসুর বধ’, ‘শারদ বন্দনা’ নামে। ১৯৩৭ সালে অনুষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘মহিষাসুরমর্দিনী’, যা এখনও একই নামে সম্প্রচারিত হয়ে চলেছে। ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ আকাশবাণী বেতার কেন্দ্র থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত হত।
আরও পড়ুন-দুর্গা ভারতমাতা নন, তবে পুজো উপেক্ষিতও নয়
বিখ্যাত ত্রয়ী
অনুষ্ঠানের পিছনে ছিলেন বিখ্যাত ত্রয়ী—বাণী কুমার, পঙ্কজকুমার মল্লিক এবং বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র। প্রথমজন রচনা ও প্রবর্তনা করেছিলেন। দ্বিতীয়জন গানগুলিকে রাঙিয়ে তুলেছিলেন সুরের রঙে। তৃতীয়জন উদাত্ত কণ্ঠে করছিলেন গ্রন্থনা ও ভাষ্যপাঠ। গেয়েছিলেন সুপ্রীতি ঘোষ, দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, শিপ্রা বসু, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, কৃষ্ণা দাশগুপ্ত, শ্যামল মিত্র, অসীমা ভট্টাচার্য, আরতি মুখোপাধ্যায়, বিমলভূষণ, সুমিতা সেন, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়, পঙ্কজকুমার মল্লিক, তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়, উৎপলা সেন, অরুণকৃষ্ণ ঘোষ, ধীরেন বসু, রবীন বন্দ্যোপাধ্যায়, ইলা বসু প্রমুখ জনপ্রিয় শিল্পী। যদিও বিভিন্ন সময় সংগীতশিল্পীদের পরিবর্তন ঘটেছে।
সুপ্রীতি ও দ্বিজেন
‘বাজলো তোমার আলোর বেণু’ গেয়েছিলেন সুপ্রীতি ঘোষ। গানটি ছাড়া আজ বাঙালির দুর্গাপুজো অসম্পূর্ণ। শোনা যায়, পঙ্কজকুমার মল্লিক এবং বাণী কুমার শুরুতে গানটির জন্য অন্য এক শিল্পীর কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু সেই শিল্পী হঠাৎ মারা যান। তাই ডাক পড়ে সুপ্রীতি ঘোষের। সুপ্রীতিকে পঙ্কজকুমার বহু আগে থেকেই চিনতেন। বিয়ের আগে সুপ্রীতি ছিলেন মজুমদার। গাইতেন মূলত রবীন্দ্রসংগীত। কবিগুরু স্বয়ং সুপ্রীতির গাওয়া গানকে অনুমোদন দিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে সুপ্রীতি গেয়েছেন অসংখ্য আধুনিক ও অসংখ্য চলচ্চিত্রের গান। তবে বাঙালি শ্রোতাদের কাছে তিনি অমর হয়ে আছেন এবং থাকবেন ‘বাজলো তোমার আলোর বেণু’র জন্যে।
আরও পড়ুন-দুর্গা ভারতমাতা নন, তবে পুজো উপেক্ষিতও নয়
‘জাগো দুর্গা’ গানটি আগে দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের ছিল না। ছিল হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের। ১৯৫০ সালের দিকে ঘটে যায় এক মস্তবড় ঘটনা। বম্বেতে গানের রেকর্ডিংয়ে গিয়েছিলেন হেমন্ত। তাই দলগতভাবে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’র রিহার্সালে অংশ নিতে পারেননি। ফলে বাণী কুমারের নির্দেশে তাঁকে অনুষ্ঠান থেকে ছেঁটে ফেলা হয়। হেমন্তর জায়গায় শুরুতে শচীন গুপ্তের নাম ভেসে আসে। কিন্তু তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় শিকে ছিঁড়ে যায় দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের কপালে। ‘জাগো দুর্গা’ গানটি দ্বিজেনকে সর্বাধিক পরিচিতি দিয়েছে। এইভাবে প্রত্যেক শিল্পী নিজেদের উজাড় করে দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-গ্লাসগোয় নিয়ম মেনে হয় অষ্টমীর সন্ধিপুজো
একাত্মতা
জানা যায়, অনুষ্ঠান শুরুর আগে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র স্নান করে গরদের জোড় পরে, কপালে চন্দনের তিলক এঁকে ভাষ্য পাঠ করতেন। পাঠ করতে করতে মাঝেমধ্যে হয়ে যেতেন আত্মহারা। ভাব চরমে পৌঁছলে কোনও কোনও সময় কেঁদেও ফেলতেন। যদিও বর্তমান রেকর্ডে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের যে ধরনের চণ্ডীপাঠ শোনা যায়, প্রথম দিকে কিন্তু উনি ওই ভাবে উচ্চারণ করতেন না। পুরো দলটিকে যথাযথ পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করতেন অধ্যাপক অশোকনাথ শাস্ত্রী বেদান্ততীর্থ। অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক শিল্পীর অনুষ্ঠানটির সঙ্গে একাত্মতা ছিল দেখবার মতো। সরাসরি সম্প্রচারের সময় প্রত্যেকেই ভোররাতে স্নান সেরে শুদ্ধ আচারে উপস্থিত হতেন।
আরও পড়ুন-বিদ্যুৎ চুরি, হল জরিমানা
বিতর্ক
জনপ্রিয় অনুষ্ঠানটি ঘিরে বিভিন্ন সময় দানা বেঁধেছিল বিতর্ক। তৎকালীন কিছু রক্ষণশীল মানুষ তীব্র আপত্তি জানিয়ে বলেছিলেন, এক অব্রাহ্মণ ব্যক্তির কণ্ঠে কেন চণ্ডীপাঠ শুনতে হবে? প্রতিবাদ করেন বাণী কুমার। আরও একটি আপত্তি ছিল। মহালয়ার সকালে পিতৃপুরুষের তর্পণের আগেই কেন চণ্ডীপাঠ? সেটা মাথায় রেখেই ১৯৩৫ এবং ১৯৩৬ সালে অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত হয়েছিল ষষ্ঠীর ভোরে। ফের ১৯৩৭ সাল থেকে মহালয়ার ভোরেই বাজানো হয়।
অসাম্প্রদায়িক
হিন্দুদের দেবী দুর্গার বন্দনাগীতি। তবে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ অনুষ্ঠানটি ছিল সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক। বেশ কয়েকজন মুসলমান যন্ত্রসংগীতশিল্পী যুক্ত ছিলেন এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে। সারেঙ্গি বাজিয়েছিলেন মুনশি, চেলো বাজান আলি, হারমোনিয়ামে ছিলেন খুশি মহম্মদ। এ ছাড়াও আকাশবাণীর আরও কয়েকজন নিয়মিত মুসলমান বাদক ছিলেন ‘মহিষাসুরমর্দিনী’র নেপথ্য শিল্পী। শুধু তাই নয়, ভাষ্যপাঠও করেছিলেন একজন ইসলাম ধর্মাবলম্বী। সেটা একবার। সম্প্রচারের দিন নির্ধারিত সময়ে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র বেতারকেন্দ্রে পৌঁছতে পারেননি। বাধ্য হয়ে নাজির আহমদ নামক একজন গুণী শিল্পী কর্তৃপক্ষকে জানান, অনুমতি পেলে তিনি স্তোত্রপাঠ করতে পারেন। অনুমতি পাওয়া গিয়েছিল। সময়মতো মাইক্রোফোনের সামনে গিয়ে স্তোত্রপাঠ শুরু করেন নাজির আহমদ। অনুষ্ঠান চলতে চলতে একসময় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র হাজির হন। তিনি দাঁড়িয়ে নাজির আহমদের স্তোত্রপাঠ শুনে মুগ্ধ হয়ে যান। কেউ কেউ নাজির আহমদকে থামাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র নিষেধ করেন। কারণ তিনি একজন শিল্পী। তাই প্রকৃত গুণীর কদর করতে জানেন। এই কথা জানা যায় কবি শামসুর রহমানের লেখা থেকে।
আরও পড়ুন-পুজোমণ্ডপে সম্প্রীতির বার্তা সাংসদ নুসরতের
‘বেতার জগৎ’ পত্রিকায় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র নিজেও একবার ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ প্রসঙ্গে লিখেছিলেন, যেন স্বয়ং মহামায়া এসে হিন্দু-মুসলমান শিল্পীদের মিলিত প্রচেষ্টায় সুরবৈচিত্রের এক সঙ্গম স্থাপন করে দিয়ে গিয়েছিলেন আড়াল থেকে।
মহানায়কের ‘দেবীদুর্গতিহারিণীম্’
একবার ঘটেছিল ছন্দপতন। যখন ‘মহিষাসুরমর্দিনী’র জনপ্রিয়তা তুঙ্গে, সেইসময় ১৯৭৬ সালে বেতার কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, এই অনুষ্ঠানটি বাতিল করে মহালয়ার ভোরে অন্য একটি অনুষ্ঠান বাজানো হবে। নতুন অনুষ্ঠানটির নামকরণ করা হয় ‘দেবীদুর্গতিহারিণীম্’। লিখেছিলেন ধ্যানেশনারায়ণ চক্রবর্তী। সংগীত পরিচালনায় ছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। গান লিখেছিলেন শ্যামল গুপ্ত। নির্বাচিত কিছু অংশের ভাষ্যপাঠ করেছিলেন মহানায়ক উত্তমকুমার। গেয়েছিলেন বহু জনপ্রিয় শিল্পী। অনুষ্ঠানটি হেমন্ত চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলেন। কারণ ‘মহিষাসুরমর্দিনী’র ‘জাগো দুর্গা’ গানটি থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। ‘দেবীদুর্গতিহারিণীম্’-এ হেমন্তর সুরে গেয়েছিলেন মান্না দে এবং আসমুদ্রহিমাচল কাঁপানো জনপ্রিয় দুই সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলে। ‘মহিষাসুরমর্দিনী’র পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়েছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, আরতি মুখোপাধ্যায়। আয়োজনে ছিল না কোনওরকম ত্রুটি। কম ছিল না গুণগত মানও। তবু ব্যর্থ হয়েছিল অনুষ্ঠানটি। শ্রোতারা প্রত্যাখ্যান করেছিল।
আরও পড়ুন-দুর্গা আছেন জগৎ জুড়ে, পূজনে তাঁর জুড়েছে ভুবন
ক্ষোভ-বিক্ষোভ
‘মহিষাসুরমর্দিনী’ অনুষ্ঠানটি বাদ দেওয়ার জন্য ক্ষোভে ফেটে পড়ে সাধারণ মানুষ। জানা যায়, ‘দেবীদুর্গতিহারিণীম্’ অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারের মধ্যপথেই আকাশবাণী অফিসে টেলিফোনে শ্রোতাদের অবর্ণনীয় গালিগালাজ আছড়ে পড়ে। অনুষ্ঠান শেষ হতে না হতেই আকাশবাণী ভবনের সামনে জড়ো হয় বিশাল জনতা। ফটকে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রহরীরা তাদের সামাল দিতে হিমশিম খেয়ে যান। ফটকের গেট ভেঙে ঢুকে পড়তে চায় উত্তাল কিছু মানুষ। শোনা যায়, পরবর্তী সময়ে মহানায়ক উত্তমকুমারও তাঁর সিদ্ধান্ত নিয়ে আক্ষেপ করেছিলেন।
ষষ্ঠী থেকে মহালয়ার ভোরে
জনগণের দাবিতে আকাশবাণী কর্তৃপক্ষ সেইবছরই ষষ্ঠীর দিন আবার সম্প্রচার করে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের উদাত্ত কণ্ঠে বেঁধে দেওয়া ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। পরের বছর থেকে আবার মহালয়ার ভোরে। দেবী আরাধনায় ১০৮ পদ্মের মতোই অনুষ্ঠানটি অনিবার্য হয়ে উঠেছে।