শেষ পর্যন্ত লাল-হলুদের চুক্তিজট আদৌ মিটবে তো! এটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। বিনিয়োগকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্টের চূড়ান্ত চুক্তিতে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের সই না করা নিয়ে উত্তাল গোটা ভারতীয় ফুটবল মহল।
বিশেষ করে, গত বুধবার লাল-হলুদ সমর্থকরা আক্রান্ত হওয়ার পর, এই বিতর্ক পৌঁছে গিয়েছে এএফসির সদর দপ্তরেও। ফিফা হোক কিংবা উয়েফা অথবা এএফসি, ফুটবলের নিয়ামক সংস্থাগুলো বরাবরই ক্লাব সমর্থকদের বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তবে এখনই ইস্টবেঙ্গলের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে না এএফসি। বরং তারা চায়, দ্রুত এই সমস্যা মিটে যাক।
আরও পড়ুন-শিশুপাচারকাণ্ড : কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলে বাঁকুড়ায় বিক্ষোভ তৃণমূলের
লাল-হলুদ সমর্থকরা অবশ্য এ সব নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নন। বরং তাঁরা চাইছেন, যত দ্রুত সম্ভব ক্লাব কর্তারা চূড়ান্ত চুক্তিতে সই করে দিন। যাতে আসন্ন আইএসএলের আসরে ইস্টবেঙ্গল খেলতে পারে।
লাল-হলুদ কর্তারা আবার এই বিষয় নিয়ে আগামী সোমবার একঝাঁক প্রাক্তন ফুটবলারকে ক্লাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। নিজেদের মধ্যে আলোচনার পর, এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য অনুরোধ জানানো হবে। সোজা কথায়, চুক্তিজট কাটাতে আপাতত মুখ্যমন্ত্রীই একমাত্র ভরসা ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্তাদের।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী নিজেও এই বিষয়ে ফেডারেশন সভাপিত প্রফুল্ল প্যাটেল ও রিলায়েন্স কর্তাদের সঙ্গে প্রাথমিক ভাবে কথা বলেছেন। ফলে ক্লাব কর্তারাও আশায় বুক বাঁধছেন।
পাশাপাশি জোর গুঞ্জন, চুক্তিপত্রের এক্সিট ক্লজ নিয়ে কিছুটা হলেও নমনীয় হয়েছে লাল-হলুদের বিনিয়োগকারী সংস্থা। আগে চুক্তিতে ছিল, বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে একতরফা সিদ্ধান্ত নেবে শ্রী সিমেন্ট। এতে ক্লাবের কোনও ভূমিকা থাকবে না। এখন খবর, এই ক্লজে কিছুটা পরিবর্তন হতে চলেছে। নয়া এক্সিট ক্লজে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবেরও বিচ্ছেদের অধিকার থাকবে।