নয়াদিল্লি : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিভিন্ন অবিজেপি রাজ্যগুলির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার নিয়ে বারবার অভিযোগ জানানো হয়েছে। সরকারের পরিসংখ্যানেই প্রমাণ মিলল সেই অভিযোগ কতটা সত্য। ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট বা ফেমা এবং পিএমএলএ-সহ নানান আর্থিক তছরুপ আইনে রাজনৈতিক নেতা ও সমাজকর্মীদের বিরুদ্ধে ইডির (ED) মামলা গত চার বছরে ৫০৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। খোদ অর্থমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান থেকে এই বিষয়টি জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন-ফের নয়া স্পাইওয়্যার কিনতে চায় কেন্দ্র! রিপোর্টে শোরগোল
অর্থমন্ত্রক সূত্রের খবর, ২০১৮-১৯ থেকে ২০২১-২২, এই চারটি অর্থবর্ষে ইডির (ED) মামলা ৫০৫ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ইডির রুজু করা মামলার সংখ্যা ছিল মাত্র ১৯৫টি। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে সেই মামলা বেড়ে হয়েছে ১১৮০টি। ২০১৪ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ইডির তল্লাশি বেড়েছে কয়েকশো গুণ। অর্থমন্ত্রকের তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইডির তল্লাশির সংখ্যা ছিল মাত্র ১১২টি। ওই সমস্ত তল্লাশিতে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল ৫৩৪৬ কোটি টাকার সম্পত্তি। তবে ২০১৪ থেকে ২০২২ পর্যন্ত সময়ে তল্লাশির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৯৭৪টি। এই সময়ের মধ্যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৯৫৪৩২.০৮ কোটি টাকা। ইডির বিপুল পরিমাণে তল্লাশি এবং মামলা রুজু করা নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। বিরোধীদের অভিযোগ, বিরোধীদের সবরকমভাবে হেনস্তা করতে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগাচ্ছে মোদি সরকার।