যাদবপুর এখন রাজ্যপালের নিয়ন্ত্রণে, স্বপ্নদীপের মৃত্যুর জবাব তিনিই দেবেন

শিক্ষামন্ত্রীর স্পষ্ট কথা

Must read

প্রতিবেদন : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার জবাব আচার্য তথা রাজ্যপালকেই দিতে হবে। ঘটনার পর শুক্রবার ট্যুইটারে এমনই দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। ক্ষোভ উগরে দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখন তো বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সরাসরি রাজ্যপালের নিয়ন্ত্রণাধীন। তাই ওঁকেই এই ঘটনার জবাব দিতে হবে। শিক্ষামন্ত্রী (Bratya Basu) ট্যুইটারে লেখেন, বিজেপি চেষ্টা চালাচ্ছে প্রতিটি বিষয়ে রাজ্য সরকারের খুঁত ধরতে। যেমন এই যে আমি এই ট্যুইট করছি, এখন যদি কোনও গাছ থেকে পাতা পড়ে, এটাও তাদের কাছে রাজ্য সরকারের খামতিই মনে হবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি আমাদের দায়ী করার ব্যস্ততায় ভুলে গিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এখন সরাসরি রাজ্যপালের নিয়ন্ত্রণাধীন। তাই এই নিন্দনীয় ঘটনা না আটকাতে পারা তাঁর ব্যর্থতা এবং ব্যর্থতা তাঁর রাজনৈতিক গুরুদেরও। খুব স্বাভাবিক ভাবেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার দায়ও নিতে হবে রাজ্যপালকেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের তিনতলার বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় স্বপ্নদীপের। তাঁর মৃত্যুর পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃত ছাত্রের বাবাকে ফোন করে সমবেদনা জানিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত নেমে এক প্রাক্তন ছাত্রকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেও ১০ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই ঘটনার জন্য রাজ্যপালকেই দায়ী করেছে শিক্ষাবিদদের সংগঠন এডুকেশনিস্ট ফোরাম। ফোরামের তরফে কলকাতা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন যাদবপুরেরই অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র। তিনি বলেন, আমি সরাসরি যাদবপুরের সঙ্গে যুক্ত। আমরা অধ্যাপনা করি। সেখানে হৃদয়বিদারক একটি ঘটনা ঘটেছে। বিএ প্রথমবর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুকে কেন্দ্র করে আজকে আমরা শিক্ষা জগতের সকলেই গভীরভাবে দুঃখিত। এরপরই ক্ষুব্ধ ওমপ্রকাশ দাবি করেন, আচার্যের পরামর্শদাতা কারা, তাঁদের সামনে আনা হোক। তিনি আরও বলেন, যাদবপুরে উপাচার্য নেই, অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যও নেই। যাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সেটা আবার কেড়ে নেওয়া হল। তাঁকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হল। বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিন সিলেকশন হচ্ছে না। ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্টসে কোনও ডিন নিয়োগ হচ্ছে না। যাদবপুরে চূড়ান্ত অব্যবস্থা চলছে বলেও অভিযোগ করেন ফোরামের সদস্যরা।

আরও পড়ুন-রাষ্ট্রদ্রোহ আইন বাতিল হবে! নতুন আইনে বাড়ছে শাস্তি?

Latest article