ওডেসায় রুশ গোলায় তিন মাসের শিশু-সহ নিহত আট

Must read

প্রতিবেদন : দু’মাস আগে যুদ্ধ শুরু করেও এখনও কিয়েভ দখলে ব্যর্থ রুশ সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর এই ব্যর্থতায় আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কিয়েভ দখলে আনতে খারকিভ ও ডোনেৎস্কে রবিবার সকাল থেকেই চলছে লাগাতার গোলাবৃষ্টি। এদিন কৃষ্ণসাগরের বন্দর শহর ওডেসায় রুশ গোলায় মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। মৃতদের মধ্যে একটি তিন মাসের শিশুও আছে। এই ঘটনায় রুশ সেনার প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ইউক্রেন (Ukraine) প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, এদিন দু’টি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ে ওডেসার দু’টি বাড়িতে। আর তাতেই ৮ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন ২১ জন। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রকও এই হামলার কথা স্বীকার করে নিয়েছে। তারা জানিয়েছে, একটি লজিস্টিক্স টার্মিনাল ধ্বংস করতেই ওই হামলা চালানো হয়েছিল। যুদ্ধ থামাতে শনিবারই পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছিলেন ইউক্রেন (Ukraine) প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, আমি মনে করি যারা যুদ্ধ শুরু করেছে, তারাই শেষ করবে। পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে তিনি ‘ভীত’ নন। তিনি বলেন, আমি প্রথম থেকেই পুতিনের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বসতে চেয়েছি। কিন্তু রাশিয়ার তরফে সাড়া মেলেনি। এদিকে সামরিক সহায়তা নিয়ে আলোচনা করতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে আসছেন আমেরিকার বিদেশ এবং প্রতিরক্ষা সচিব। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম আমেরিকার কোনও শীর্ষ স্তরের প্রতিনিধি ইউক্রেন আসছেন। তাঁদের আসার কথা জানিয়ে উৎসাহিত প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দেশবাসীকে বলেছেন, ‘‘এবার আমরা জবরদখলকারীদের হঠাতে পারব।” যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পশ্চিমি দেশগুলির কাছে বারবার সামরিক সাহায্যে চেয়েছেন জেলেনস্কি। সরাসরি সামরিক সাহায্যের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে কিয়েভে এই প্রথম উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে আমেরিকা। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড জে অস্টিন এবং বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন কিয়েভে আসছেন। পাশাপাশি যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই কিয়েভে ফের দূতাবাস খোলার কথা জানিয়েছে ব্রিটেন। তাঁদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, শুধু আমরা নই, আরও অনেকেই মৃত্যুকে ভয় পায় না।

Latest article