বাংলা জুড়ে ভোট প্রস্তুতি

সমতলের পাশাপাশি দুই দশকেরও বেশি সময় বাদে পাহাড়ের দার্জিলিং ও কালিম্পং এলাকায় দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।

Must read

প্রতিবেদন : দিনক্ষণ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি শুরু হল রাজ্যে। বৃহস্পতিবারই পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছেন নতুন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। সেই ঘোষণা অনুযায়ী ৮ জুলাই গোটা রাজ্যে একদফায় হবে পঞ্চায়েত ভোট। সমতলের পাশাপাশি দুই দশকেরও বেশি সময় বাদে পাহাড়ের দার্জিলিং ও কালিম্পং এলাকায় দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

ভোট ঘোষণার পর রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে এদিনই দফায় দফায় বৈঠক করেন তিনি। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক মনোজ মালব্য দুপুরে কমিশনে এসে বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকে মনোনয়ন পেশ থেকে ভোটগ্রহণ পর্যন্ত রাজ্যের সামগ্রিক সুরক্ষা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করা হয় বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসনিক পর্যালোচনায় প্রাথমিক ভাবে পাঁচ জেলাকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই তালিকায় জলপাইগুড়ি, বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা রয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর। তবে রাজ্যের সব ক’টি বুথই স্পর্শকাতর ধরে নিয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সেইমতো নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কোনও প্রশ্ন নেই বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু একান্ত প্রয়োজন পড়লে পার্শ্ববর্তী রাজ্যের থেকে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী আনা হবে। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, এবার পঞ্চায়েতের বুথ সংখ্যা বেড়েছে তাই নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যাটাও বাড়বে। তবে রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হবে প্রত্যেক বুথেই। লাইন ঠিক করবে লাঠিধারী পুলিশ। পাশাপাশি থাকছে কুইক রেসপন্স টিম। সেক্টর অফিসেও থাকবে পর্যাপ্ত পরিমাণে সশস্ত্র ও লাঠিধারী পুলিশ। প্রত্যেক বুথেই সিসিটিভি মনিটরিং করার প্রচেষ্টা চলছে। যেখানে নেটওয়ার্কের সমস্যা আছে সেখানে ভিডিওগ্রাফি করার ব্যবস্থা করা হবে বলে এখনও পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন-অর্ধেক আকাশে স্বপ্নের উড়ান

মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা পর্যাপ্ত নয় বলে বিরোধীরা অভিযোগ করলেও কমিশন ওই সময়সীমা অপরিবর্তিত রাখার ওপরেই জোর দিয়েছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া বা তোলার জন্য যতটা সময় দেওয়া হয়েছে, তার থেকে অতিরিক্ত সময় দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে কমিশন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সেই অনুয়ায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।

আরও পড়ুন-আতঙ্কের রেলযাত্রা, ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা এড়াল দুর্গ-পুরী এক্সপ্রেস

কুৎসার জবাব :

প্রশ্ন : সর্বদল সভা কেন ডাকা হয়নি?
জবাব : সর্বদল সভা ডেকে ভোট করতে হবে এমন কথা কোথায় বলা হয়েছে? ২০২১ সালের কোভিডের মধ্যে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন ভোট করেছিল। সর্বদল হয়েছিল? প্রশাসন প্রয়োজন ভিত্তিক ব্যবস্থা নেবে।
প্রশ্ন : কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে কেন ভোট নয়?
জবাব : নিয়ম হল লোকসভা ও বিধানসভা ভোট কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। পুরসভা ও পঞ্চায়েত ভোট করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্য সরকার চাইলে অন্য রাজ্য থেকে বাহিনী আনবে। ’২১-এর ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করেও বিরোধীরা পর্যুদস্ত হয়।
প্রশ্ন : একদিনে ভোট কেন?
জবাব : অপযুক্তি। একুশের ভোট ৮ দফায় হয়েছিল। কী হয়েছিল মনে আছে? বিরোধী সংগঠন নেই। সমর্থনও নেই। তাই দফা নিয়েও প্রশ্ন।
প্রশ্ন : কোর্টে কেন বিরোধীরা?
জবাব : বিরোধীদের প্রার্থী নেই, লোক নেই, ভোটে হারবে। সেই কারণে জটিলতা তৈরি করতে কোর্টে গিয়েছে। প্ররোচনা চলছে অশান্তি তৈরি করতে। আর তৃণমূল উন্নয়নকে সামনে রেখেই ভোট করবে।

আরও পড়ুন-প্রয়াত লবনহ্রদ সংবাদের সম্পাদক সুধীর দে

আচরণ বিধি : ১) নতুন কোনও সরকারি প্রকল্প পরিকল্পনা বা কাজের ঘোষণা বা সূচনা করা যাবে না। ২) মন্ত্রী বা সমমর্যাদার কোনও জনপ্রতিনিধি রাজনৈতিক প্রচারে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না। ৩) ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না লাল বাতি গাড়ি বা কনভয়। ৪) রাত ১০টা থেকে ভোর ছ’টা পর্যন্ত প্রচার নয়। ৫) প্রচার শেষ ৬ জুলাই বিকেল পাঁচটায়। ৬) কোথাও কোনও বাইক মিছিল নয়। ৭) ভোটে স্পর্শকাতর পাঁচ জেলা। ৮) ভোটের নিরাপত্তায় রাজ্য পুলিশই। ৯) প্রয়োজনে আনা হবে ভিন রাজ্যের পুলিশবাহিনী।

Latest article