প্রতিবেদন : ভারত থেকে আগামী মাসের শেষ দিকেই বিদ্যুৎ আমদানি করবে বাংলাদেশ। ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির ফলে বর্তমান বিদ্যুৎ সংকটের অনেকটাই কেটে যাবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিভাগের কর্তারা। ভারতের ঝাড়খণ্ডে আদানি গ্রুপের নির্মাণ করা বিদ্যুৎকেন্দ্রটির একটি ইউনিট থেকে উৎপাদিত এই বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানি করা হবে।
আরও পড়ুন-বাবরি ও গোধরা : সব মামলা বন্ধের ঘোষণা সুপ্রিম কোর্টের
ইতিমধ্যেই ওই কেন্দ্রটিতে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির সঙ্গে গ্রিড লাইন যুক্ত করে বাংলাদেশ থেকে সঞ্চালন লাইনে বিদ্যুৎ দিয়ে পরীক্ষার কাজ শেষ করা হয়েছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড সূত্রে এই তথ্য জানা গিয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসের শেষদিকে পরীক্ষামূলকভাবে ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে বাংলাদেশে। দুটি সাবস্টেশনের নির্মাণকাজ শেষ হলে অতিরিক্ত আরও ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে আগামী অক্টোবরে।
আরও পড়ুন-সরকার বাঁচাতে বিধায়কদের ছত্তিশগড় পাঠালেন সোরেন
এরপর ডিসেম্বরের মধ্যে আদানির দুটি ইউনিট থেকে মোট এক হাজার ৪৯৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে পাঠানোর কথা। বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই পুরো প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সংকট অনেকটাই কমে যাবে। তখন ব্যয়বহুল তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলি থেকে উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন-প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ দখল, নিহত ৩০
বিপিডিবি সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে ভারত থেকে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে বিপিডিবি। আদানির প্রথম ইউনিটের ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ গ্রিডে যুক্ত করা গেলে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পরিমাণ দাঁড়াবে এক হাজার ৯৬০ মেগাওয়াট। আর বিদ্যুৎকেন্দ্রটির পুরো সক্ষমতা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ হলে আমদানির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে দুই হাজার ৬৫৫ মেগাওয়াট, যা দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার ১০ শতাংশ।
আরও পড়ুন-লাদাখে ভারতীয় মেষপালকদের হেনস্তা লালফৌজের
আদানির বিদ্যুৎ দেশে আনার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুরে এবং বগুড়ায় ৪০০ কেভির দুটি গ্রিড সাবস্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। এই সাবস্টেশনের নির্মাণকাজ এখনও শেষ করা যায়নি। ফলে এখনই বিদ্যুৎকেন্দ্রের পুরো সক্ষমতা বাংলাদেশ কাজে লাগাতে পারবে না। বিদ্যুৎ আমদানির জন্য এরই মধ্যে ভারত সীমান্তবর্তী মনাকষা থেকে রহনপুর পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এই সঞ্চালন লাইন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২২৬ কোটি টাকা।