প্রতিবেদন : বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য TET (Teacher Eligibility Test) ও CTET(Central Teacher Eligibility Test), কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক নিয়োগের জন্য NET (National Eligibility Test) ও SET (State Eligibility Test) শুধুমাত্র ‘Eligibility’ বা ‘যোগ্যতা নির্ণায়ক’ পরীক্ষা মাত্র— এই পরীক্ষাগুলোতে উত্তীর্ণ হলে শিক্ষক বা অধ্যাপক পদের জন্য শুধুমাত্র আবেদন করা যায়, স্থায়ী চাকরি মেলে না৷
আরও পড়ুন-একটু উন্নতি, কালীপুজোর আগেই ফিরছেন অভিষেক
TET, CTET, NET বা SET পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর অর্থাৎ Eligible হবার পর বিভিন্ন পর্যায়ে প্রার্থীর রেজাল্টের গড় মান, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে তার সাথে সাথে প্রার্থীর গবেষণার অভিজ্ঞতা, গবেষণাপত্রের সংখ্যা ও গুণমান এবং সব ক্ষেত্রেই নিয়োগের জন্য নির্দিষ্ট ইন্টারভিউয়ে প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের উপর ভিত্তি করে, শুধুমাত্র ‘শূন্যপদের সংখ্যা’ অনুযায়ী (মানে অনুমোদিত Vacancy বা পদের সংখ্যা অনুযায়ী) বিদ্যালয়, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী চাকরি পাওয়া যায়৷ তার মানে শুধুমাত্র TET, CTET, NET বা SET’এ উত্তীর্ণ হলেই শিক্ষক বা অধ্যাপক পদে স্থায়ী চাকরি হবার সুযোগ মেলে না।
আরও পড়ুন-আসছে ঘূর্ণিঝড়, কৃষকদের সতর্ক করে জারি বিজ্ঞপ্তি
রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই শূন্যপদে নিয়োগের ইচ্ছে প্রকাশ করে আদালতে হলফনামা দিয়েছে। শুক্রবার থেকে আপার প্রাইমারিতে নিয়োগ প্রক্রিয়াও শুরু করেছে। ফলে অযথা রাজনীতি না করে, চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনকে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দার জন্য ব্যবহার না করে সুষ্ঠুভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দেওয়া উচিত সরকারকে। ঘোলাজলে মাছ ধরতে নামা সিপিএম-কংগ্রেস ও বিজেপি তা বোঝার মতো অবস্থায় আছে?