প্রতিবেদন: আগেই ঠিক ছিল তৃতীয় পর্যায়ের চিতা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারতে আসবে। কিন্তু চিতা পুনঃপ্রবর্তন কর্মসূচি নিয়ে ভারতের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন জমা না দেওয়া এবং বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদের বিপন্ন প্রজাতির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থার অনুমতি না নেওয়ার কারণে এই পর্যায়ের চিতা আসা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে গেল। ত্রৈমাসিক অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেওয়া ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা শর্তগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল। এই সমঝোতার অধীনে প্রকল্প চিতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে আফ্রিকান চিতা পুনঃপ্রবর্তন কর্মসূচি চালু রয়েছে।
আরও পড়ুন-অভিযুক্তদের নোটিশ দিতে বিকল্প হিসাবে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারে না পুলিশ
বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদের বিপন্ন প্রজাতির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থার অনুমতি এখনও না মেলায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরও চিতা আনার কার্যক্রমও স্থগিত রয়েছে। আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুসারে এই নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীর বাণিজ্যিক আদানপ্রদান ও স্থানান্তর নিয়ন্ত্রণ করে। এর অধীনে অনেক বিপন্ন প্রজাতিকে বিশেষ অনুমতি ছাড়া আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করার অনুমতি দেওয়া হয় না। আফ্রিকান চিতা সংস্থার অ্যাপেনডিক্স আই-এ অন্তর্ভুক্ত, যা সবচেয়ে বিপন্ন প্রজাতির তালিকা।উল্লেখ্য, প্রকল্প পরিকল্পনার সময় নিয়ন্ত্রণ সংস্থার অনুমতির প্রয়োজনীয়তা উপেক্ষা করেছিল কেন্দ্র। এই সমঝোতা প্রকল্পের অধীনে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ১২টি আফ্রিকান চিতা ভারতে পাঠানো হয়েছিল। এর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে নামিবিয়া থেকে ৮টি চিতা ভারতে আনা হয়। যদিও পরিকাঠামোগত ত্রুটিবিচ্যুতির কারণে একাধিক চিতা ও শাবকের মৃত্যু হয়েছে।