মাটি চুরির ফলে বাড়ছে ভাঙন, রাতে নদীপথে নজরদারি পুলিশের

মাটি মাফিয়ারাজ বন্ধ করতে তৎপর পুলিশ রাতভর চালাচ্ছে নজরদারি। ভাগীরথীর পাড় থেকে অবৈধ মাটি কাটা রুখতে দিনেও চলে নজরদারি

Must read

সংবাদদাতা, কাটোয়া : মাটি মাফিয়ারাজ বন্ধ করতে তৎপর পুলিশ রাতভর চালাচ্ছে নজরদারি। ভাগীরথীর পাড় থেকে অবৈধ মাটি কাটা রুখতে দিনেও চলে নজরদারি। এবার থেকে রাতেও চলবে বলে জানান কালনার এসডিপিও সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘২ নং ব্লকের ভাগীরথীঘেঁষা পূর্ব সাতগাছিয়া এলাকায় নজরদারিতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’’ জলপথে নজরদারি চলছে লঞ্চে। কালনার ভাগীরথীর ধার বরাবর দীর্ঘদিন চলছে মাটি-মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য।

আরও পড়ুন-কালিয়াচকের জনসমুদ্র ভাসল সায়নীর জ্বালাময়ী ভাষণে

শুরুতে সরাসরি নদী থেকেই মাটি তোলা হত। কিন্তু নদীর গায়েই ছোট-বড় বেশ কয়েকটি চর গজিয়েছে। সেখানেও কৃষিজমি থেকে অবাধে মাটি কেটে পাচার হচ্ছে। এর ফলে এলাকায় ভাঙন ভয়াবহ চেহারা নিচ্ছে। নদীর পেটে বড় বড় গর্ত হয়ে বিপদের শঙ্কা বাড়ছে। অবাধে মাটি কাটায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষিজমিও। মাটি চুরি রুখতে বরাবরই তৎপর পুলিশ-প্রশাসন। বহুবার মাটিবোঝাই নৌকা-ট্রাক্টর আটক করে গ্রেফতার করা হয়। তাতে কিছুদিন চুপচাপ থাকার পর ফের সক্রিয় হয় মাটি-মাফিয়ারা।

আরও পড়ুন-ফুলে-ফুলে

হাঁসপুকুর, নিভুজি, কোলডাঙা, কোম্পানিডাঙা, শতপটির লোকজন মাটি চুরির কারবারে জড়িত। দিনে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট দফতরের নজরদারি থাকায় কিছুদিন ধরে রাতে কাজ সারছিল মাটি-মাফিয়ারা। এইসব মাটির ক্রেতা মূলত ভাগীরথী লাগোয়া ইটভাটার মালিকরা। ট্রলি (১০০ সিএফটি) পিছু দর মেলে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা। অনেক ভাটা মালিক আবার নিজেরাই এলাকার মাটি কিনে নেন। এবার এই কারবার পুরোপুরি বন্ধ করতে রাত জেগে টহলদারি চালাচ্ছে পুলিশ।

Latest article