সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর : বছর কয়েক আগেও কালীপুজো মানেই ছিল মাটির প্রদীপ, মোমবাতি আর লুচি-ফলারের উৎসব। সেসব এখন কোণঠাসা। মাটির প্রদীপ, মোমের জায়গা নিয়েছে টুনি বাল্ব। লুচি-ফলারের আয়োজনও দেখা যায় না বললেই চলে। শুধু প্রবীণরা স্মরণ করেন সেসব কথা। এক সময় কালীপুজোয় মাটির প্রদীপ দিয়ে মন্দির ও বাড়ি সাজানোর রীতি ছিল।
আরও পড়ুন –সন্ন্যাসজীবন বেছে নিলেন ভূগোলের অধ্যাপিকা
পুজোর এক মাস আগে থেকে বাড়ির মহিলারা মাটির প্রদীপ তৈরি শুরু করতেন। কালীপুজোয় তাতে তেল-সলতে দিয়ে জ্বালিয়ে সাজানো হত বাড়ি এবং মন্দির। এখন আর প্রদীপ জ্বালানোর চল নেই। নিয়মরক্ষার্থে ৪/৫টি তৈরি হয়। বংশবাটির বিশ্বনাথ পাল, সুতির মহাদেব পাল বলেন, ‘‘আগে কালীপুজো উপলক্ষে প্রায় দু-আড়াই হাজার পিস পোড়ামাটির প্রদীপ বিক্রি করতাম। এখন বিক্রি হয় না বললেই চলে। এলইডি লাইট দিয়ে মন্দির এবং বাড়ি সাজানোর দিকে ঝুঁকেছে মানুষ।’’ বিক্রি কমেছে মোমবাতিরও।
আরও পড়ুন –ভিড় টানছে টুইন টাওয়ার
সুভাষ লালা বলেন, ‘‘ছোটবেলায় মালার ভিতরে মোমবাতি জ্বালিয়ে নিয়ে মহানন্দে ঠাকুর দেখে বেড়াতাম। আজ সেসব দিন কোথায়!’’ হিলোড়া লোকপাড়ার অতুল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তখন কালীপুজো মানেই ছিল লুচি-ফলার। রুটির আকারে বড় বড় লুচি, কুমড়োর তরকারি বা ছোলার ডাল আর একমুঠো বোঁদে। তাতেই ছিল অমৃতের স্বাদ। আজ তো লুচি-ফলার খাওয়ার লোক খুঁজে পাওয়াই ভার!”