প্রতিবেদন : প্রচারসর্বস্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। এই প্রকল্পে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে গড়ে উঠেছে একাধিক হাসপাতাল। সবচেয়ে বেশি হাসপাতাল (২৫৫২টি) নির্মাণ করা হয়েছে মোদির রাজ্য গুজরাতে। হাসপাতাল তৈরির জন্য মোটা টাকা বরাদ্দও করা হয়েছিল। প্রতিটি হাসপাতালেই অত্যাধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে বলে দাবি। হাসপাতাল তৈরি হওয়ার পর বেশ কয়েক মাস কেটেও গিয়েছে। কিন্তু আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে তৈরি হওয়া হাসপাতালগুলির এক- তৃতীয়াংশই রোগীশূন্য। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের ভূমিকায় এবার প্রশ্ন প্রাক্তন বিচারপতির
প্রশ্ন হল, কী কারণে হাসপাতালগুলি রোগীশূন্য? জানা গিয়েছে, নামে অত্যাধুনিক বলে উল্লেখ করা হলেও আদতে ওই হাসপাতালগুলিতে কোনও পরিকাঠামোই গড়ে তোলা হয়নি। চিকিৎসক, চিকিৎসা সরঞ্জাম থেকে শুরু করে ওষুধপত্র কিছুই মেলে না বলে অভিযোগ। পরিকাঠামো নির্মাণ না করেই লোক দেখিয়ে হাসপাতালগুলির উদ্বোধন করা হয়েছে। সে কারণেই ওই হাসপাতালগুলিতে কার্যত কেউ যেতে রাজি নয়। স্বাভাবিকভাবেই হাসপাতালগুলি রোগীশূন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন-শারদসম্প্রীতি
দরিদ্র এবং আর্থিক দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকা মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে গুজরাত, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক, তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং পাঞ্জাবে বেশকিছু হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছিল। যথারীতি সব থেকে বেশি হাসপাতাল তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল গুজরাতে। দ্বিতীয় ও তৃতীয়স্থানে ছিল যথাক্রমে তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশ। রাজস্থান, কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ এবং পাঞ্জাবে এই প্রকল্পে শতাধিক হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। এই কয়েকটি রাজ্যেই আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে মোট সাড়ে সাত হাজার হাসপাতাল তৈরির কথা ছিল। বরাদ্দও করা হয়েছিল অর্থ। কিন্তু সেই অর্থ আদৌ খরচ করা হয়েছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ যদি এই বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করা হয়েই থাকে তাহলে কেন হাসপাতালগুলোতে কোনও পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি?
আরও পড়ুন-নতুন বইয়ের গন্ধ
সাধারণ ও পিছিয়ে পড়া মানুষের চিকিৎসায় জোর দেওয়া হল কেন সেখানে চিকিৎসার ন্যূনতম সরঞ্জামটুকু নেই, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রক এই সমস্ত প্রশ্নের কোনও উত্তর জানায়নি। জানা গিয়েছে, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে ন’টি রাজ্যেই ২৮৮৫৬টি হাসপাতাল তৈরি করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে শুরু থেকেই প্রায় সাড়ে আট হাজার হাসপাতালে চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনও কাজই হয় না।