পড়ুয়া, অধ্যাপক, আশ্রমিকদের বাদ দিয়ে সমাবর্তন, উপাচার্যর মোদিস্তুতিতে নিন্দার ঝড়

এ কেমন সমাবর্তন, যেখানে আশ্রমিক থেকে পড়ুয়া, অধ্যাপক এমনকী সাংবাদিক— কারও প্রবেশাধিকার ছিল না।

Must read

সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : এ কেমন সমাবর্তন, যেখানে আশ্রমিক থেকে পড়ুয়া, অধ্যাপক এমনকী সাংবাদিক— কারও প্রবেশাধিকার ছিল না। তাতে নির্বিঘ্নে উপাচার্যের স্বাগতভাষণে মোদিস্তুতি করলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বললেন, রবীন্দ্রনাথ পাঁচটি গ্রাম ‘গোদ’ নিয়েছিলেন, এখন সেটির সংখ্যা ষাট। একইভাবে ২০১৫ সালে নরেন্দ্র মোদি প্রত্যেক সাংসদকে পাঁচটি গ্রাম গোদ নেওয়ার কথা বলেছিলেন। উপাচার্যের মুখে এই কথা শোনার পরই নিন্দার ঝড় উঠেছে।

আরও পড়ুন-বাড়ছে করোনা সংক্রমণ

সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, কিছু বলার নেই। উনি সবসময় বিতর্ক তৈরি করতে ভালবাসেন। আরেক আশ্রমিক সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এসব পাগলের প্রলাপ। প্রাক্তন উপাচার্য সবুজকলি সেন বলেন, ১৯২২ সালে পাঁচটি গ্রামের দায়িত্ব নেয় বিশ্বভারতী। তাই তার সঙ্গে অন্য তুলনা আসে না। ২০১৫ সালে ৫২ থেকে ৬০টি গ্রামের দায়িত্ব নেয় বিশ্বভারতী। বর্তমান উপাচার্য এসেছেন তার অনেক পরে।
রবীন্দ্রনাথের ভাবনা, ভাবাদর্শকে মোদির সঙ্গে গুলিয়ে দিয়ে ক্ষান্ত হননি উপাচার্য। অনুষ্ঠানটি এই প্রথম বাংলা ও হিন্দি সঞ্চালনায় এগোয়। যেটা আগে সঞ্চালনা ছাড়াই হত। এটাই ছিল রীতি।

আরও পড়ুন-পৃথ্বীর দিকে নজর থাকবে রোহিতদের, দাবি সৌরভের

উপাচার্য নিজের ঢাক পেটাতে অন্যের কৃতিত্ব নিজের বলে দাবি করেন। জানান, একমাসের মধ্যে বিশ্বভারতী ইউনেস্কো হেরিটেজের স্বীকৃতি পেতে চলেছে। যদিও এটি উপাচার্য সুজিত বসু ও রজত রায়ের সময়কার উদ্যোগ। ত্রাণ নিয়েও মিথ্যাচার করেছেন। সবথেকে লজ্জার বিষয়, যেভাবে ছাত্রদের অনুষ্ঠানে ছাত্রদের এবং আশ্রমিকদের ঠেকিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তা লজ্জার।

আরও পড়ুন-সুজনকে অত্যাচারী বললেন শোভনদেব

এদিন সাড়ে বারোটায় কুমিরডাঙা হ্যালিপ্যাডে নেমে রথীন্দ্রনাথ অতিথিশালায় বিশ্রাম নিয়ে রাষ্ট্রপতি উদয়ন কবিগৃহে মাল্যদান করে রবীন্দ্রভবন যান। কলাভবনও ঘুরে দেখেন। বেলা তিনটেয় আম্রকুঞ্জে যান। ছাত্রছাত্রীর উদ্দেশে বলেন, বিশ্বভারতীতে দেখছি যত ছাত্র তত ছাত্রী। তাদের সমন্বয় দরকার।

Latest article