প্রতিবেদন : ফেসবুক লাইভের মারণ নেশার কারণে প্রাণ দিতে হল চার ব্যক্তিকে। শুক্রবার এই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে। বিএমডব্লিউ গাড়িটি সজোরে ধাক্কা মারে বিপরীত দিক থেকে আসা কন্টেনার ট্রাককে। সে সময় ওই বিএমডব্লিউ গাড়িটির গতি ছিল ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটার। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৪ জনের। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ধাক্কার অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে, ছোট গাড়ির চার আরোহীর দেহ টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন-পাথর ছুঁড়ে প্রাণে মারার নিদান
পুলিশ জানিয়েছে, হালিয়াপুর থানার অন্তর্গত এক্সপ্রেসওয়েতে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। সুলতানপুরের দিক থেকে আসছিল বিএমডব্লিউটি। উল্টোদিক থেকে আসছিল কন্টেনারটি৷ এসময় বিএমডব্লিউ-এর চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে গাড়িটির সঙ্গে ট্রাকের মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। প্রবল সংঘর্ষে গাড়ির ইঞ্জিন এবং চার আরোহী উড়ে গিয়ে কিছুটা দূরে পড়ে। মৃতদের নাম আনন্দ প্রকাশ (৩৫), অখিলেশ সিং (৩৫) এবং দীপক কুমার (৩৭) এবং ভোলা কুশওয়া। সকলেই বিহারের আওরঙ্গাবাদের বাসিন্দা। এঁদের মধ্যে আনন্দ বিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক। দীপক পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার এবং মুকেশ ও অখিলেশ ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন-দুর্নীতিতে ডুবে শীর্ষস্তরের রেলকর্তা
দুর্ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, গাড়ির গতিবেগ যখন ১০০ কিমি, সে সময় ফেসবুক লাইভ করতে করতে একজনকে বলতে শোনা যায়, গতি আরও বাড়াও। আজ চারজনই মরব। এরপরই নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি শুরু হয়। গাড়ির স্পিডোমিটারের দিকে তাক করা ক্যামেরায় চোখ রাখলে দেখা যাচ্ছে, ক্রমশই বাড়ছে গাড়ির গতি। প্রথমে ১০০, তারপর ১৫০ আর সেখান থেকে গতিবেগ পৌঁছয় ১৮০তে। কিন্তু এই গতিবেগেও তাঁদের মন ভরছিল না।
আরও পড়ুন-চিননীতি নিয়ে ফের কেন্দ্রকে তোপ
একসময় গাড়ির গতি ২০০-তে পৌঁছয়। কিন্তু তখনও মিলছিল না মানসিক শান্তি। এরপরই গাড়িতে থাকা একজন বলেন, এখান থেকেই ৩০০ স্পিড তোলো। অপর একজনকে বলতে শোনা যায়, সিট বেল্ট বেঁধে নাও। এরপর গাড়ির গতিবেগ যখন ২৩০ তখনই শেষ হয়ে যায় ভিডিও। পুলিশ জানতে পেরেছে গাড়ি চালাচ্ছিলেন ভোলা কুশওয়া। ৩০০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চালানোর জন্য তাঁকে জোরাজুরি করেছিলেন দীপক।