অকাল বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে ধান, আলু আশঙ্কায় চাষিরা, নবান্নে জরুরি বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী

আশঙ্কায় ভুগছেন চাষিরা। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় শুক্রবার নবান্নে বৈঠকে বসলেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

Must read

প্রতিবেদন : অকাল বৃষ্টিতে বিপুল ক্ষতির মুখে রাজ্যের আলু ও ধান চাষ। আশঙ্কায় ভুগছেন চাষিরা। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় শুক্রবার নবান্নে বৈঠকে বসলেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। অকাল বৃষ্টির জন্য দক্ষিণবঙ্গে ধান ও আলু চাষের সম্ভাব্য ক্ষতি ও তার মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে ওই বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দফতরের বরিষ্ঠ আধিকারিকরা ও ভার্চুয়ালি ছিলেন জেলার উপকৃষি অধিকর্তারাও।

আরও পড়ুন-লোক আদালতের ভূমিকা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না

আলু চাষের জন্য বিখ্যাত হুগলি জেলা। হুগলিতে এখন ভরা রবি মরশুম। মাঠে আলু চাষের সময়। জেলায় এবার ৯১ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তার পঞ্চাশ শতাংশ জমিতে আলু বসানো হয়ে গিয়েছে। খরিফের ধান তুলে আলু বসানোর কাজ চলছে সিঙ্গুর, হরিপাল, পোলবা-দাদপুর, পাণ্ডুয়া, ধনিয়াখালি সহ বিভিন্ন ব্লকে।

আরও পড়ুন-আন্তর্জাতিক বাজারে আরও সস্তা হল অপরিশোধিত তেল, এদেশে কবে দাম কমাবে কেন্দ্র?

ডিসেম্বরে যখন ঠান্ডা পড়তে শুরু করে, মাটি শুকনো থাকে, রৌদ্রোজ্বল আকাশ আলু চাষের পক্ষে যা উপযুক্ত সময়। কনকনে ঠান্ডায় গাছ বড় হয় আর মাটির তলায় আলু বাড়তে থাকে। এই সময় বৃষ্টি হলে আলু চাষে ক্ষতি হয়। মিগজাউমের প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরে মেঘলা আকাশ আর ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়েছে বিক্ষিপ্ত ভাবে। বুধবার সন্ধ্যা থেকে চলে একটানা বৃষ্টি। ফলে আলু চাষের জমিতে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। পোলবায় দেখা গেল, জমি থেকে আল কেটে জল বের করার চেষ্টা করছেন চাষিরা। অনেক চাষি এসময় ঋণ নিয়ে আলু চাষ করেন। আলু জমিতে দীর্ঘ সময় জল জমে থাকলে মাটির তলায় থাকা আলু পচে যাবে। নতুন করে আবার আলু চাষ করতে খরচ হবে। এছাড়া জমি ভিজে থাকায় আবার আলু চাষের উপযুক্ত করতে সময় লাগবে। ফলে চাষ পিছিয়ে যাবে, ফলন মার খাবে। এমনই আশঙ্কায় ভুগছেন চাষিরা।

Latest article