সবজি ও ধানচাষের বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা, গালুডি ব্যারেজের জলে প্লাবিত ঝাড়গ্রাম

ফের বে-আক্কেলের মতো জল ছাড়ল গালুডি ব্যারেজ। বৃষ্টি, নদীর উপচে-পড়া জলে গোদের ওপর বিষফোড়া অতিরিক্ত জলে ঝাড়গ্রামে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি।

Must read

সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম : ফের বে-আক্কেলের মতো জল ছাড়ল গালুডি ব্যারেজ। বৃষ্টি, নদীর উপচে-পড়া জলে গোদের ওপর বিষফোড়া অতিরিক্ত জলে ঝাড়গ্রামে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। সুবর্ণরেখা নদীর জলস্তর কমলেও প্লাবিত গ্রামগুলি থেকে জল এখনও সরে যায়নি। নিম্নচাপের টানা বৃষ্টি আর ঝাড়খণ্ডের গালুডি ব্যারেজ থেকে দফায় দফায় ছাড়া জলে ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম, গোপীবল্লভপুর, বেলিয়াবেড়া, সাঁকরাইল ও জামবনির নদী পার্শ্ববর্তী এলাকার গ্রামগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়।

আরও পড়ুন-বিশ্বভারতী কারণ দর্শানোর নোটিশ দিল ২ অধ্যাপককে

প্লাবিত হয় নয়াগ্রামের সুবর্ণরেখা নদীতীরবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রাম। নদীর জল দুকূল ছাপিয়ে বইতে শুরু করে। সোমবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সুবর্ণরেখা ও তার সহযোগী নদী ডুলুংয়ের জল অনেকটাই নেমেছে। চাষের কয়েকশো বিঘা জমিতে এখন সুবর্ণরেখার ঘোলা জল। আরও ২-৩ দিন জল জমে থাকলে বড় ক্ষতি হবে সবজি ও ধানচাষের। শনিবার ও রবিবার গালুডি ব্যারেজ থেকে প্রায় ৬ লক্ষ ২৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়। নয়াগ্রামের মলম, বড়খাকড়ি, নয়াগ্রাম ইত্যাদি গ্রাম পঞ্চায়েতের যাদবপুর, শুকদেবপুর, নরসিংহপুর, মলম, ডাহি এদিকে দেউলবাড়,খান্দারপাড়া ইত্যাদি গ্রামে জল ঢুকেছে। মানুষজনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সমস্ত ব্যবস্থা তৈরি রেখেছে।

আরও পড়ুন-পেঁয়াজচাষে সাফল্য বাঁকুড়ার, পাশে প্রশাসন

নয়াগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঞ্চিতা ঘোষ বলেন, পরিস্থিতি খারাপ। মলম গ্রামের ২২টি গরু স্থানীয় খড়িপালে চরতে গিয়ে নদীর জল বাড়ায় আটকে পড়েছিল। তাদের মোটরবোটে উদ্ধার করে স্থানীয় প্রশাসন। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও উঁচু জায়গার ক্লাব, স্কুলঘরে আশ্রয় দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানান জেলা সাধারণ সম্পাদক সুমন সাহু।

Latest article