পাঁচ বছরের রক্ষণাবেক্ষণের দায় ঠিকাদারের, সিদ্ধান্ত জেলা পরিষদের

এ বছর জেলার বিভিন্ন জনবহুল জায়গায় ‘সৌর আলো’ বসাতে উদ্যোগী হয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ। এই সিদ্ধান্ত তাদেরই।

Must read

সুনীতা সিং, পূর্ব বর্ধমান: শুধু কাজ করেই মিলবে না নিস্তার, ৫ বছরের জন্য রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও নিতে হবে ঠিকাদারকে। এ বছর জেলার বিভিন্ন জনবহুল জায়গায় ‘সৌর আলো’ বসাতে উদ্যোগী হয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ। এই সিদ্ধান্ত তাদেরই। ঠিকাদার সংস্থা সৌর আলো লাগানোর পরই যাতে হাত ধুয়ে কেটে না পড়ে তাই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থাকেই তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিতে হবে। প্রতিটি দরপত্রে ও কাজের বরাত দেওয়ার সময় পাঁচ বছরের রক্ষণাবেক্ষণ, এলইডি পাল্টানো ইত্যাদি দায় ঠিকাদারকেই নিতে হবে বলে জেলা পরিষদ চুক্তি করছে। জেলায় মোট ২০০ সৌর আলো বসানোর কাজ এই প্রথম করবে জেলা পরিষদ। কাটোয়া, কালনা ও দুই বর্ধমান মহকুমায় ৫০টি করে বসবে সৌর আলো। এক-একটি স্তম্ভের উচ্চতা হবে ৯ মিটার, সেখানে চারটে করে এলইডি থাকবে।

আরও পড়ুন-প্রেমের ডাকবাক্সে আজ জমা পড়বে অনভূতির ঠিকানা

প্রতিটি স্তম্ভের জন্যে ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯০০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। জেলা পরিষদ সৌর আলো লাগানোর জন্যে ৫ কোটি ৯৯ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা খরচ ধরেছে। জেলা সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার বলেন, ‘জেলা পরিষদ সব সময় বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবহারে জোর দিয়েছে। জেলা পরিষদের ছাদেও সৌরবিদ্যুতের প্যানেল রয়েছে। এবার আমরা জনবহুল এলাকাতেও সৌর আলো বসাচ্ছি। এতে বিদ্যুতের খরচ বাঁচবে, পরিবেশ দূষিত হবে না। আলো জ্বালানোর জন্যে অতিরিক্ত লোকও লাগবে না।’ বর্ধমান শহর-সংলগ্ন পঞ্চায়েত এলাকায় সৌরআলো লাগানোর কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে। ৬০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শেষ হওয়ার পর থেকে পরের পাঁচ বছর সৌর আলো জ্বালানোর দায়ও ঠিকাদার সংস্থাকেই নিতে হবে। সে জন্য ঠিকাদারের জমা টাকার একটা অংশ (সিকিউরিটি ডিপোজ়িট) জেলা পরিষদে জমা থাকবে।

আরও পড়ুন-রাস্তার খাবারের দোকানে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

রাস্তার কাজের মতো সৌরস্তম্ভের দায়ও ঠিকদারকে দেওয়া নিয়ে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ (জনস্বাস্থ্য) বিশ্বনাথ রায় বলেন, ‘অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই আমরা ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জেলায় বিধায়ক ও সাংসদ তহবিল থেকে কয়েকশো সৌর আলো রাস্তায় বসানো হয়েছে। ছ’মাস পর বেশির ভাগ আর জ্বলে না। এলইডি নষ্ট হয়ে যাওয়া, সৌর প্যানেল বোর্ড চুরির বিষয়গুলিও রয়েছে। ঠিকাদারকেই সৌর আলো লাগানোর পর পাঁচ বছর ধরে ঠিকমতো যাতে আলো জ্বলে তার দায় নিতে হবে। আলো জ্বালার পরে এলাকা যাতে ফের অন্ধকারে ডুবে না যায়, সেটা দেখার দায়িত্ব আমাদের।’ সহ-সভাধিপতি গার্গী নাহা বলেন, ‘প্রতিটি স্তম্ভে একজন নোডাল অফিসার বা ঠিকাদার সংস্থার লোকের নাম ও নম্বর দেওয়ার কথা বলেছি। যাতে এলইডি কেটে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা সংশ্লিষ্ট লোকের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে দ্রুত তা ঠিক করিয়ে নিতে পারেন।’

Latest article