গত ১৬ জুলাই দাঙ্গা বিধ্বস্ত মণিপুরের (Manipur) সড়কপথে অসম রাইফেলসের (Assam Rifles) ট্রাক যাচ্ছিল। ট্রাকে সবজি আর কিছু খাবারও ছিল। খাবার যাচ্ছিল ট্রুপের জন্য। মণিপুরের কাকচিং এলাকায় ট্রাক আসতেই ঘেরাও করা হয় সেই ট্রাক। সামনে মণিপুরের মহিলাদের একটি দলকে দেখা গেল। ট্রাক দাঁড়িয়ে পড়তেই লুঠ হয় খাবার। এরপর এফআইআর চলে আর সেখানেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আরও পড়ুন-‘দ্রুত তদন্ত শেষ করতে পারব’, যাদবপুর কাণ্ডে আশাবাদী পুলিশ কমিশনার, রিপোর্ট চাইল ইউজিসি
অসম রাইফেলসের দায়ের করা এফআইআর-এ জানানো হয়েছে, ওই মহিলারা ট্রাক জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। ৪ হাজার কেজি খাবার লুঠ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেনা বাহিনীর জন্য যে খাবার যাচ্ছিল, সেই সব লুঠ করে পালিয়ে যান মহিলারা। ঘটনায় প্রশাসনের ব়্যাডারে রয়েছে মণিপুরের মেইতেই মহিলা বাহিনী, যাঁদের স্থানীয়ভাবে ‘মেইরা পাইবিস’ বলা হয়। স্থানীয় ভাষায় এই ‘মেইরা পাইবিস’ শব্দের মানে হল মশালধারী মহিলা বাহিনী।
আরও পড়ুন-স্বাধীনতা দিবসের আগে দিল্লিতে ‘ফুল ড্রেস রিহার্সাল’
অসম রাইফেলসের এই অভিযোগ ঘিরে মেইরা পাইবিস সুর চড়িয়েছে। অসম রাইফেলস কুকিদের সপক্ষে গিয়ে কাজ করছে। মেইতেই গ্রামে যে পরিমান হিংসা হচ্ছে, সেটা থামাতে অসম রাইফেলস পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলেই তাদের অভিযোগ। সেই অভিযোগ যদিও অস্বীকার করছে অসম রাইফেলস।
আরও পড়ুন-কিশোর বিপ্লবী ও তাঁদের পরিবার
উল্লেখ্য, গোটা মণিপুরে অসম রাইফেলস ও আধা সেনা মোতায়েন করা হয়েছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে। ৭ অগস্টের নতুন হিংসার পর বিষ্ণুপুর ও কাংভাই এলাকার মাঝের চেকপোস্টে অসম রাইফেলসের জায়গায় পুলিশ ও সিআরপিএফ মোতায়েন হয়েছে। মেইতেই গোষ্ঠীর এই মশালধারী মহিলাবাহিনী ঘিরে চাপে রয়েছে প্রশাসন।