ছেলেবেলার স্কুলের সরস্বতী গড়া আজও প্রাক্তনী অতনুর নেশা

সোমবার অতনুর তুলিতে সরস্বতীর চোখ আঁকা দেখতে চারপাশে ভিড় করেছিল কৌতূহলী খুদে পড়ুয়ারা। তা দেখে অতনুর প্রতিক্রিয়া, মনে হচ্ছে যেন এখনও স্কুলেই পড়ছি

Must read

প্রতিবেদন : ছেলেবেলায় কুমোরপাড়ার সরস্বতী মূর্তি গড়া দেখে নিজের খেয়ালে স্কুলের প্রতিমা বানানো শুরু শান্তিপুর কলেজের প্রথম বর্ষের ইতিহাসের ছাত্র অতনু বিশ্বাসের। চার বছর ধরে শান্তিপুরের তন্তুবায় হাইস্কুলের প্রতিমা তৈরি করে আসছেন স্কুলের প্রাক্তনী অতনু। এবারও তাঁর গড়া মূর্তিরই পুজো হবে স্কুলে। মহাপ্রভুপাড়ার বাসিন্দা অতনুর পরিবার তাঁতশিল্পের সঙ্গে যুক্ত।

আরও পড়ুন-‘রামায়ণ কল্পকাহিনি’ বলায় বিজেপি বিধায়কের রোষে চাকরি গেল শিক্ষিকার

বাবা পরিমল বিশ্বাস বাড়িতে হস্তচালিত তাঁতে কাপড় বোনেন। তবে বুননশিল্প নয়, ছোটবেলায় পড়াশোনার পাশাপাশি অতনুর মন পড়ে থাকত স্থানীয় বারোয়ারি মণ্ডপ থেকে চৌগাছাপাড়ায় মৃৎশিল্পীদের হাতে একটু একটু করে মাটির ডেলা থেকে খড়-কাঠ-দড়ির উপর ধীরে ধীরে প্রতিমাকে রূপ পেতে দেখায়। প্রথাগত শিক্ষা না থাকলেও যা ক্রমে দাঁড়ায় নেশায়। গত ৮ বছর বাড়ির দুর্গাপ্রতিমাও গড়েন তিনি। শান্তিপুর তন্তুবায় হাইস্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময়ই স্কুলের সরস্বতী মূর্তি তৈরিতে হাতেখড়ি তাঁর। এবছর কলেজে ভর্তি হয়ে পড়ার চাপ বেড়েছে। সেসব সামলেই রোজ সময় করে স্কুলপ্রাঙ্গণে বসে গড়ে তুলেছেন প্রায় সাড়ে ৬ ফুটের প্রতিমা। প্রধান শিক্ষক অনুপ সাহার কথায়, স্কুলের সরস্বতী প্রতিমা কুমোরটুলি বা কৃষ্ণনগর থেকে আনতে হয় না। অতনু স্কুলের প্রাক্তনী নয়, আমাদের ঘরের ছেলে। ওর সৃষ্টিকে শুধু শিল্পকর্ম না বলে স্কুলশিক্ষারই অঙ্গ হিসাবে দেখি আমরা। সোমবার অতনুর তুলিতে সরস্বতীর চোখ আঁকা দেখতে চারপাশে ভিড় করেছিল কৌতূহলী খুদে পড়ুয়ারা। তা দেখে অতনুর প্রতিক্রিয়া, মনে হচ্ছে যেন এখনও স্কুলেই পড়ছি

Latest article