রিতিশা সরকার, শিলিগুড়ি : বামেরা কোনওরকম উন্নয়ন করেনি। জঞ্জালের স্তূপে পরিণত হয়েছিল শিলিগুড়ি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন করে শিলিগুড়ি গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। মানুষ উন্নয়নের পক্ষে সাড়া দিয়েছেন। পুরসভা ভোটে বিপুল সমর্থন পেয়ে বোর্ড গড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ডেপুটি মেয়র হিসাবে চেয়ারে বসার আগে তাই শহরের গরিমা ফিরিয়ে দিতে চান, বললেন রঞ্জন সরকার।
আরও পড়ুন-এবার মেলায় ‘বাংলা পক্ষ’
সোমবার শিলিগুড়ি পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র হিসেবে নাম ঘোষণা হয়েছে তাঁর। তারপর থেকেই শিলিগুড়ি শহরকে সাজিয়ে তুলতে ও শিলিগুড়ি শহরের প্রাপ্য সম্মান ফিরিয়ে দিতেই পরিকল্পনা শুরু করেছেন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। শিলিগুড়ির মানুষের কাছে রঞ্জনবাবু রানা নামে পরিচিত। তিনি ডেপুটি মেয়র হওয়ায় খুশি শহরবাসী। ছত্রিশ বছরের রাজনৈতিক জীবনে কাউন্সিলর আগেই হয়েছেন। প্রথমবার ডেপুটি মেয়রের আসনে বসে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রত্যাশাকেই গুরুত্ব দিতে চাইছেন। মঙ্গলবার শহরের বাইরে থেকে তিনি ফেরেন। ফিরেই নিজের ওয়ার্ডে গিয়ে ওয়ার্ডবাসীর সঙ্গে দেখা করেছেন।
আরও পড়ুন-পুত্র-কন্যার দেহ আগলে মা
তবে দীর্ঘ বাম আমলে শিলিগুড়িবাসীর বঞ্চনা দূর করতে ইতিমধ্যে একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি। তাই মেয়রের সঙ্গে আলোচনা করেই অনেকরকম উন্নয়নমূলক কাজ করতে চান তিনি। রঞ্জনবাবু বলেন, মানুষ ভোট দিয়েছে উন্নয়নের জন্য। প্রত্যাশা আর আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর আকাঙ্ক্ষা, কাজ করার ইচ্ছা বাস্তবায়িত করতে চাই। এই মুহূর্তে শিলিগুড়ি শহরের সব থেকে বড় সমস্যা যানজট সমস্যা। এই যানজট সমস্যা থেকে সাধারণ মানুষকে নিস্তার দিতে চান তিনি। সেই কারণেই ইতিমধ্যে একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছেন যা ডেপুটি মেয়রের চেয়ারে বসে বাস্তবায়িত করবেন। ফুলেশ্বরী থেকে জোড়াপানি নদীর সংস্কার করার কথাও বলেন তিনি।