প্রতিবেদন : লক্ষ্য, উচ্চশিক্ষায় কলকাতাকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তোলা, যা অদূর ভবিষ্যতে হয়ে উঠবে তামাম বিশ্বের মেধা এবং প্রতিভার গন্তব্যস্থল। এই অনুপ্রেরণার হাত ধরেই এক ঐক্যবদ্ধ যাত্রা শুরু করল কলকাতা মহানগরীর সমস্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। মহান লক্ষ্যে এক বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। গড়ে উঠল এক ঐতিহাসিক অ্যাসোসিয়েশন। শিক্ষার প্রগতিতে প্রকৃত অর্থেই ঐক্যবদ্ধ শক্তির স্বীকৃতি প্রতিফলিত হল এই উচ্চমানের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্ঘবদ্ধতায়। মহান প্রয়াসের সাক্ষী হয়ে রইল কলকাতার কালচারাল হাব।
আরও পড়ুন-লাহিড়ীবাড়ির ৪৫০ বছরের পুজোভোগে আকর্ষণ ইলিশ ও চিংড়ি
কেন এই অভিনব উদ্যোগ? উদ্দেশ্য স্পষ্ট। প্রথমত, দেশের মেধাবীদের দেশান্তরে পাড়ি দেওয়ার ক্রমবর্ধমান প্রবণতায় ইতি টানা। দ্বিতীয়ত, বাংলার মেধাবী-উচ্চশিক্ষিত ছাত্র এবং যুবসমাজের সামনে আন্তর্জাতিক মানের সম্ভাবনার পথ খুলে দেওয়া। এবং উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী পড়ুয়াদের বিশেষ বিশেষ বিষয়ে বিশেষ দক্ষতা অর্জনের সুযোগ করে দেওয়া। উচ্চশিক্ষা অভিযানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির এই একসঙ্গে পথ চলার অঙ্গীকার বাংলার উচ্চশিক্ষার ইতিহাসে নিঃসন্দেহে গভীর তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়।
আরও পড়ুন-রোহিতদের পরামর্শ বিন্দ্রার
উচ্চশিক্ষার এই ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে উদ্ভাবকের ভূমিকায় অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটির আচার্য ডঃ সমিত রায়, সিকম স্কিলস ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান অনীশ চক্রবর্তী, সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সত্যম রায়চৌধুরী, জেআইএস ইউনিভার্সিটির আচার্য সর্দার তরনজিৎ সিং, টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটির কো-চ্যান্সেলর মানসী রায়চৌধুরী, নেওটিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-চ্যান্সেলর প্রদীপজ্যোতি আগরওয়াল, ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, কলকাতার প্রো-চ্যান্সেলর ডঃ সত্যজিৎ চক্রবর্তী, ব্রেনওয়্যার ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর ফাল্গুনি মুখোপাধ্যায়, স্বামী বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ডঃ নন্দন গুপ্ত। অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা হলেন, সভাপতি সমিত রায়, সহ-সভাপতি মানসী রায়চৌধুরী, সম্পাদক অনীশ চক্রবর্তী এবং কোষাধ্যক্ষ প্রদীপজ্যোতি আগরওয়াল।