এবারের দুর্গাপুজোতে মহাত্মা গান্ধীর আদলে অসুরের মূর্তি ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল। সেই পুজো কমিটি নিন্দার মুখে পড়ে এবং অবশেষে পরিবর্তন করা হয় অসুর। সেই নিয়েই এবার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজয়া সম্মিলনীতে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ বৃহস্পতিবার ভবানীপুরে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী ছিল। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দুর্গাপুজোর নাম করে গান্ধীজিকে অসুর বানিয়েছেন! কী শাস্তি হওয়া উচিত? জনতাই শাস্তি দেবে। লজ্জার ব্যাপার।’
আরও পড়ুন-নির্জন সমুদ্রতট বগুরান জলপাই
তিনি বলেন, “আগে বিজেপি নেতারা বাংলায় এসে বলতেন মমতা বন্যার্জি দুর্গাপুজা নেহি করনে দেতা।“ আর এখন তাদেরই শাখা সংগঠনের পুজো দেশের নেতাকে দুর্গার অসুর করা হয়েছে। এই বিষয়ে পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকার প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, বিষয়টি নজরে আসতেই তারা মূর্তি পরিবর্তন করে দেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এর জবাব দেবে জনতা”।
একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিয়েও বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আজ তুমি ক্ষমতায় বলে বাড়িতে এজেন্সি পাঠাচ্ছ। কিন্তু কাল যখন ক্ষমতায় থাকবে না, তখন তোমার বাড়িতেই এজেন্সি আসবে।“ বারবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এজেন্সি দিয়ে বিরোধীদের হেনস্থা করার অভিযোগ তোলা হয়। এবার ফের সেই অভিযোগ করলেন মমতা।
আরও পড়ুন-জম্মুতে অন্তত ১ বছর থাকলেই ভোটাধিকার, নির্দেশিকা জারি
এদিনের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলায় সম্প্রীতির বাতাবরণ করা হয়। যে রেড রোডে বিসর্জনের কার্নিভাল হয়, সেখানেই ঈদের নামাজ পড়া হয়। এই উদাহরণ কোথাও নেই। একই সঙ্গে পুজোর অনুদান প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পুজোয় ৬০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া নিয়ে অনেকে আদালতেও মামলা করেছেন। অথচ এই পুজোতেই সবচেয়ে বেশি গরিব মানুষদের উপার্জন হয়। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এবার পুজোয় ৫০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে বাংলায়। ফুচকা বিক্রেতা থেকে ঢাকি- সব পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষের রোজগার হয়।
আরও পড়ুন-এডুর ফ্রি-কিকে নিভল মশাল
একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিসর্জনের কার্নিভালে শুধু কলকাতার দুর্গাপুজো কমিটিদেরই ডাকা হয়। তাতেই ৪ ঘণ্টা সময় লাগে। আর অন্যান্য জেলাকে ডাকলে ওটা ১০ঘণ্টা সময় লাগবে।
কালীপুজো-দিওয়ালি সাবধানে পালন করার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, নিজের আনন্দ যেন অন্যের অসুবিধার কারণ না হয়।