প্রতিবেদন : গুজরাতে স্বতঃস্ফূর্ত দাঙ্গা হয়েছিল। ওই দাঙ্গা (Gujarat Riots) পরিকল্পিত ছিল না। গোধরা-পরবর্তী চারটি ভিন্ন ভিন্ন দাঙ্গার মামলায় ৩৫ জন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করতে গিয়ে এই মন্তব্য করেছে গুজরাতের একটি নিম্ন আদালত। এই মামলায় ৫২ জন আসামি ছিল। যার মধ্যে ১৭ জন বিচারাধীন অবস্থায় মারা যান।
ঘটনার ২১ বছর পর, গুজরাতের পঞ্চমহল জেলার কালোল শহরের এক আদালত অভিযুক্ত আরও ৩৫ জনকে মুক্তি দিয়েছে। যদিও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশের চার্জশিটে দাবি করা হয়েছিল, তিনজনকে মারাত্মক অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তারপর প্রমাণ নষ্ট করার উদ্দেশ্যে তাঁদের দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। তবে আদালত বলেছে, পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ পেশ করতে ব্যর্থ হয়েছে। শুধু অভিযুক্তদের মুক্তি দেওয়াই নয়, অতিরিক্ত দায়রা বিচারক হর্ষ ত্রিবেদীর পর্যবেক্ষণ, কিছু ছদ্ম ধর্মনিরপেক্ষ সংবাদমাধ্যম এবং রাজনীতিবিদের জন্য হিন্দুদের কাঠগড়ায় তোলা হয়েছিল। দাঙ্গাটি পূর্ব পরিকল্পিত বলে যে দাবি করা হয়েছিল তা ঠিক নয়। গুজরাতের নিম্ন আদালত আরও বলেছে, কোনও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দাঙ্গার (Gujarat Riots) অভিযোগ টিকিয়ে রাখা যাবে না। এমনকী, এই মামলায় অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। আদালতের এই পর্যবেক্ষণ অনেকেই অবাক হয়েছেন। পাশাপাশি দীর্ঘ ২০ বছর মামলা চালিয়েও পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেশ করতে না পারায় সকলেই এই মামলার তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।