করোনাজনিত কারণে বহু মানুষ তাঁদের কাজ হারিয়েছেন। অনেকের রোজগার কমে অর্ধেক হয়েছে। যদিও তা নিয়ে ভ্রুক্ষেপ নেই কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের। মোদির রাজ্য গুজরাতের গান্ধীনগরের (Gujarat Gandhinagar) বাসিন্দা বিজয় সালাত। এই যুবক মাত্র আড়াই হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন শৈলেশ বারুত নামে এক ব্যক্তির কাছে। কিন্তু বিজয় সময়মতো পাওনাদারকে সেই টাকা মেটাতে পারেননি। সে কারণেই শৈলেশ তার কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে বিজয়ের একটি হাত কেটে ফেলে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দেওয়ালির দিন।
আরও পড়ুন-পড়ুয়াদের সচেতন করতে স্কুলে শিশু সংসদ
গুরুতর জখম বিজয় বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিজয় জানিয়েছেন, তিনি শৈলেশের থেকে আড়াই হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। ঠিকমতো কাজ না থাকায় তিনি ওই টাকা শোধ করতে পারেননি। তবে তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, কিছুদিনের মধ্যেই টাকা শোধ করে দেবেন। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় শৈলেশ তার কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে বিজয়ের বাড়িতে হাজির হয়। তারা জানায়, এখনই টাকা দিতে হবে। কিন্তু বিজয় পাল্টা জানান, এই মুহূর্তে কোনওভাবেই তাঁর পক্ষে টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। উৎসব মিটে গেলে কয়েকদিন পর তিনি টাকা শোধ করে দেবেন। কিন্তু বিজয়ের এই কথায় প্রচণ্ড রেগে ওঠে শৈলেশ। সঙ্গে সঙ্গেই সে বিজয়ের একটি হাতে তরোয়ালের কোপ মারে। তরোয়ালের এক কোপে কব্জি থেকে হাত কেটে যায়। এরপর শৈলেশ বিজয়ের পায়েও বেশ কয়েকবার তরোয়ালের কোপ বসায়। বিজয়ের চিৎকার-চেঁচামেচিতে ছুটে আসে বাড়ির লোকজন। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা বিজয়কে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে আমেদাবাদের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা টানা ৭ ঘণ্টার ধরে অপারেশন করে বিজয়ের হাত জোড়া দেওয়ার চেষ্টা করেন। যদিও তা সফল হয়নি। এ ঘটনায় পুলিশ শৈলেশ ও তার বাবাকে গ্রেফতার করেছে। তবে শৈলেশের দুই সঙ্গীর খোঁজ পায়নি পুলিশ (Gujarat- Police)।