পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুতে শীর্ষস্থানে মোদি-শাহ’র গুজরাত

Must read

প্রতিবেদন : বিজেপির শাসনকালে বারবার বাক স্বাধীনতা ও মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে শুধুমাত্র সর্বভারতীয় ক্ষেত্রেই নয়, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেও ব্যাপকভাবে বাক স্বাধীনতা ও মানবাধিকার লংঘন করা হচ্ছে। এটা কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দলের অভিয়োগ নয়, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাম্প্রতিক রিপোর্ট থেকে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা গিয়েছে। মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যভিত্তিক পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে মোদি-শাহ’র বিজেপি শাসিত রাজ্য গুজরাত (Custodial Deaths- Gujarat)। গত ৫ বছরে মোদির রাজ্যে পুলিশি হেফাজতে ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে পুলিশি হেফাজতে থাকা বিচারাধীনদের সুরক্ষা এবং মানবাধিকারের বিষয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে খোদ প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যে।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, ২০১৭-২০১৮ সালে গুজরাতে ১৪ জন বিচারাধীন বন্দির মৃত্যু হয়েছে। পরের বছর একজন মাত্র কমে তা হয় ১৩। ২০১৯-২০ তে এই সংখ্যাটা ছিল ১২ এবং ২০২১-২২ সালে সংখ্যাটা দ্বিগুণ হয়ে ২৪-এ পৌঁছয়। এক প্রশ্নের উত্তরে লোকসভায় এই তথ্য দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র। মানবাধিকার কমিশন এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দেওয়া এই রিপোর্টকে হাতিয়ার করে বিজেপি সরকারের কড়া সমালোচনা করেছে বিরোধী দলগুলি। বিরোধীরা বিজেপি সরকারের আচরণকে চরম অমানবিক বলে উল্লেখ করেছে।

আরও পড়ুন: লং মার্চে অংশ নিয়ে প্রাণ হারালেন কৃষক

গুজরাত প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র হীরেন বাঙ্কার বলেন, গান্ধী-সর্দারের গুজরাতে জেল হেফাজতে মৃত্যুর ক্রমবর্ধমান সংখ্যা রাজ্যের জন্য বড় লজ্জা। মানবাধিকার কমিশনের তথ্যে এটা স্পষ্ট যে, বিজেপি সরকার মানবাধিকারের ধার ধারে না। আইন নিজের হাতে তুলে নিতে তারা সিদ্ধহস্ত। যা নিতান্তই অসংবিধানিক। শুধু তাই নয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী গুজরাতের জেলগুলিতে যে ধারণক্ষমতা আছে তার থেকে অনেক বেশি বন্দি সেখানে রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তথ্য বলছে, গুজরাতে (Custodial Deaths- Gujarat) বিভিন্ন জেলে মোট ১৩৯৯৯ জন বন্দিকে রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সেখানে ১৬৫৯৭ জন বন্দি রয়েছে।

লোকসভায় অন্য একটি প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, গুজরাতে মোট ৭৪৫টি থানার মধ্যে ৬২২টিতে সিসিটিভি রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১২৩ থানায় কোনও সিসিটিভি নেই। এই প্রসঙ্গে গুজরাতের আপ নেতা গোপাল ইতালিয়া জানিয়েছেন, যে সংখ্যাটা এখানে দেওয়া হয়েছে সেই সংখ্যাটাই যে আসল তা নিয়েও সন্দেহ আছে।

Latest article