প্রতিবেদন : দেশের একাধিক রাজ্যে গত কয়েকদিন ধরে চলছে তুমুল বৃষ্টিপাত (Rainfall)। মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে উত্তরাখণ্ড, হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, অসম, গুজরাত এমনকী, মরুরাজ্য রাজস্থানেও ভয়ানক বানভাসি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। চলতি বছরের বন্যায় এখনও পর্যন্ত উত্তর ভারতে ২৫০-এরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, জম্মু ও কাশ্মীরে একের পর এক ধস নামায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। শুক্রবার রাতে উত্তরকাশীতে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে বৃষ্টিতে বেশ কিছু যানবাহন ও ঘরবাড়ি ভেসে গিয়েছে। বারকোটের কস্তুরবা গান্ধী আবাসিক বালিকা বিদ্যালয় জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে লাদাখের লেহ শহরও বন্যা কবলিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক রাস্তা। শনিবার সকালে মুম্বইয়ের অধিকাংশ এলাকায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে মুম্বইয়ের রাস্তা সম্পূর্ণ জলমগ্ন হয়ে পড়ে। থমকে দাঁড়ায় যান চলাচল। জল ঢুকে পড়ে মেট্রো লাইনেও। ফলে বেশ কিছুক্ষণ মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ (Rainfall) থাকে আন্ধেরিতে। আবহাওয়া দফতর মহারাষ্ট্রে একাধিক জেলায় রবিবার হলুদ সর্তকতা জারি করেছে। ভারী বৃষ্টি চলছে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, ছত্তিশগড় এবং তেলেঙ্গানাতেও। শুক্রবার মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিতে ওড়িশার সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং তেলেঙ্গানার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ সাময়িক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রবল বৃষ্টির কারণে যমুনাতেও বেড়েছে জলস্তর। আশঙ্কা করা হচ্ছে, যমুনার জলস্তর শীঘ্রই বিপদসীমার স্তর অতিক্রম করবে। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস: ২৩ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত হিমাচলের কয়েকটি জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এই রাজ্যের একাধিক জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের পার্বত্য অঞ্চলেও জারি করা হয়েছে হলুদ সর্তকতা। আইএমডি জানিয়েছে, ওড়িশা, অন্ধপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, গুজরাত ও দিল্লিতে আগামী তিন দিন ভারী বৃষ্টিপাত চলবে। তারপর ক্রমশ কমবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ।