একটা নয় একাধিক রোগে জর্জরিত জিডি বিড়লা স্কুলের ছাত্রী ঈশিতা বড়ুয়া (Ishita Barua)। ১৭ বছরের এই মেয়েটির একাধিক হাড়ের রোগ। প্রতিকূলতায় ভরা জীবন তবুও নানা শারীরিক প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে ঈশিতার এবারের ISC রেজাল্ট দেখার মত।
আরও পড়ুন-৬৮ কিমি ঝড় কলকাতায়, স্বস্তি রাজ্যজুড়ে
ঈশিতার উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৮ ইঞ্চি। শারীরিক জটিলতা কম নেই। হার মানেনি ঈশিতা। সঙ্গে রয়েছে শুধু ইচ্ছে শক্তি। আইএসসি ২০২৩ -এ সে ৯৮.৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছ। ইলেকট্রিভ ইংলিশ এবং সোশিওলজিতে তিনি ১০০ -তে ১০০ পেয়েছেন।
আরও পড়ুন-‘দায়িত্ব এড়াতে পারেন না মোদী-শাহ’ এগরাকাণ্ডে বিস্ফোরক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
এই ফলাফলের জন্য তাঁর স্কুল এবং বোর্ডকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ঈশিতা। অসুস্থতার জন্য বোর্ড তাঁকে অতিরিক্ত সময় দিয়েছে পেপার শেষ করতে। ঈশিতা এই নিয়ে জানান, ‘আমার হাঁটতে এতটাই অসুবিধা হয় যে আমি একা বাথরুমে পর্যন্ত যেতে পারি না। আমার টিচার এবং বন্ধুরা অনেক সাহায্য করত। আমায় কেবল বাড়ির লোক নয়, স্কুল থেকে টিচার্স বন্ধুরা সবাই সাহায্য করেছে।’
আরও পড়ুন-কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, ডেপুটি হচ্ছেন শিবকুমার, শপথ শনিবার
ঈশিতা বেশিক্ষন এক ভাবে বসতে পারে না। হাঁটাচলা করতে পারে না। তাঁর অনেকগুলো এপিফাইজিল বোন ডিস্পলেসিয়া আছে। ৭ দিন বয়সে তাঁকে অপারেশন করাতে হয়েছিল। ছোট থেকে এই সমস্যায় আক্রান্ত সে। তার অস্টিওআর্থরাইটিস আছে। এর ফলে সৃষ্টি হয়েছে আরো কিছু রোগ।
আরও পড়ুন-সরানো হল রিজিজুকে, এবার কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর পদে অর্জুন রাম মেঘওয়াল
জিডি বিড়লা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিস্টার লুকাস এই বিষয়ে জানান, ‘ও আমাদের স্কুলের গর্ব। ঈশিতা বরাবর পড়াশোনায় ভালো ছিল। খুব মনে দিয়ে পড়ত। রোজের পড়া, কাজ রোজ করে আসত। স্কুলের তরফে যে ইন্টারঅ্যাক্টিভ লার্নিং ক্লাস হতো সেখানে দারুণ ভাবে অংশ নিত ও। ওর জন্য এত সংবাদমাধ্যম ফোন করছে যে আমার বলতেও ভালো লাগছে। ও বাকিদের কাছে একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে।’