প্রতিবেদন : প্রাথমিকে দুর্নীতি মামলায় এবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court- High Court) ভূমিকা নিয়েই নজিরবিহীন ভাবে প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, স্পেশাল লিভ পিটিশনই (এসএলপি) দাখিল হল না। শুধুমাত্র ডায়েরি নম্বরের ভিত্তিতে তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়ে দেওয়া হল— এটা কী করে সম্ভব? বিচারপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বলে কি যা ইচ্ছা তাই করা যায় নাকি? এটা জমিদারি নাকি? বৃহস্পতিবার শিক্ষা-সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলছিল। তখনই সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর সঙ্গে কথোপকথনের সময় এই মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবারই প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২০ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সিবিআই ও ইডির যৌথ তদন্তের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীর বেঞ্চ। গত ২ মার্চ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই যৌথ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court- High Court) এসএসসি-র নবম-দশমে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় আবেদনকারীদের আইনজীবী মুকুল রোহতগি প্রশ্ন তোলেন, কারও বক্তব্য না শুনে কীভাবে পাঁচ হাজার লোকের চাকরি এক কথায় খারিজ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি? বিচারপতির টিভিতে সাক্ষাৎকার দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে শিক্ষা-সংক্রান্ত অন্য একটি মামলা চলাকালীন মুকুল রোহতগির প্রসঙ্গ ওঠে। তখনই ওই মন্তব্য করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি আইনজীবী মুকুল রোহতগির ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, শুনেছি উনি ৩০ লক্ষ টাকা নেন মামলা করতে। স্থগিতাদেশের নির্দেশ শুনে বিচারপতি বলেন, দুর্নীতির হাত তার মানে অনেক লম্বা।