প্রতিবেদন : পাহাড়ের কান্না তুমি শুনতে কি পাও? সংসারের গুরুভারে মুখ থুবড়ে পড়া মধ্যবিত্তের মতো মানুষের নির্মাণের ভারে পাহাড়ও ধসে পড়ছে নিয়ত। পাহাড়ের কান্না চাপা পড়ে যাচ্ছে রাস্তা কিংবা টানেল তৈরির জন্য ডিনামাইটের বিস্ফোরণের আড়ালে। হিমালয়ের আনাচে কানাচে, গিরিগুহা আর শৈলশিরায় লুকিয়ে থাকা সেসব আর্তনাদ ধরা পড়েছে বেলেঘাটা ৩৩ পল্লির মণ্ডপ পরিকল্পনায়। তারই অনুষঙ্গে পর্বতদুহিতা, গিরিরাজের কন্যা পার্বতীর কাছে ৩৩ পল্লির শারদ প্রার্থনা, মা! তুমি বাঁচাও পাহাড়কে। জাগ্রত করো মা মানুষের শুভবুদ্ধি। মানুষের শুভবুদ্ধির বলয়ই হোক পাহাড়ের অস্তিত্বের শেষ আশ্রয়।
আরও পড়ুন-পুজোর আগে শেষ রবিবার শহরে ক্রেতার ঢল
মণ্ডপ থেকে প্রতিমা, পুরোটাই শিল্পী সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত। এবারই প্রথম তিনি যুক্ত হয়েছেন এই পুজোটির সঙ্গে। ২৩ বছরে পদার্পণ করা এই পুজোর এবারের বাজেট প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা, জানালেন উদ্যোক্তাদের অন্যতম সুশান্ত সাহা। মণ্ডপের মূল প্রবেশদ্বারের সামনেই একটা মুখ থুবড়ে পড়া মানুষের মূর্তি। ভেতরে শৈলপুত্রী গিরিনন্দিনীর অনিন্দ্যসুন্দর প্রতিমা। এই প্রতিমা এবার সেরার সেরা সম্মান পাবেই, জোর গলায় বলছিলেন পুরপিতা অয়ন চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন-কাশিমবাজার রাজবাড়ির পুজোয় এখনও জাঁকজমক
২৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ঠাকুর দেখতে এসেছিলেন ৩৩ নং ওয়ার্ডে। তাঁর সঙ্গে সহমত আরও অসংখ্য দর্শনার্থী। মণ্ডপ পরিবেশবান্ধব উপকরণ ছাড়া অন্য কিছু ব্যবহৃত হয়নি। রঙের ক্ষেত্রেও এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে লেড পেন্টের ছোঁয়া। বছর পাঁচেক আগে ট্যাক্সির প্যান্ডেল করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল এই পুজো। এবার তাদের উৎকর্ষ বিন্দু আর আকর্ষক কেন্দ্রে নতুন চমৎকারিত্ব।