ভয়ঙ্কর অনাহার, মৃত্যু হল শতাধিক শিশুর, গৃহযুদ্ধে রক্তাক্ত সুদানে দুর্ভিক্ষের হাহাকার

ওই অনাথ আশ্রমের কর্মীদের আশঙ্কা, অবিলম্বে শিশুদের উপযুক্ত খাদ্য ও প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দেওয়া না হলে আরও শিশু মারা যেতে পারে

Must read

প্রতিবেদন: প্রায় দু’মাস ধরে সুদানে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ চলছে। সেদেশের সেনা ও আধাসেনা বাহিনীর মধ্যে চলা যুদ্ধের কারণে এ পর্যন্ত শতাধিক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। মূলত অনাহারের কারণে ওই শিশুরা মারা গিয়েছে বলে খবর। যার মধ্যে সুদানের রাজধানী খার্তুমের একটি অনাথ আশ্রমে থাকা বিভিন্ন বয়সের ৬০টি শিশু মারা গিয়েছে বলে খবর। সেনা ও আধাসেনার এই প্রবল যুদ্ধে চরম সঙ্কটে পড়েছে সুদানবাসী। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে।

আরও পড়ুন-জঙ্গলে মিতিন মাসির জোরদার অভিযান

এমনকী, পয়সা ফেললেও মিলছে না জিনিস। অহরহ গোলাগুলি চলায় মানুষ ঘরের বাইরে আসতে পারছেন না। ফলে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। চরম খাদ্যসঙ্কটে ভুগছে দেশবাসী। শিশুদের পাশাপাশি বয়স্ক ও অসুস্থরাও ঘোরোতর সঙ্কটে পড়েছেন। দেশে জরুরি ওষুধও অমিল। জানা গিয়েছে, আল-মায়কোমা নামে খার্তুমের একটি অনাথ আশ্রমে ছয় সপ্তাহ ধরে আটকে ছিল বেশ কিছু শিশু। যুদ্ধের কারণে গৃহহীন হওয়ায় তাদের ঠাঁই হয়েছিল ওই অনাথ আশ্রমে। ওই শিশুদের বেশিরভাগই খাবারের অভাব ও জ্বরে ভুগে মারা গিয়েছে। তাদের মধ্যে শুধু দু’দিনেই প্রাণ হারিয়েছে ২৬ জন শিশু। ওই অনাথ আশ্রমের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা শিশুমৃত্যুর খবরটি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

তাঁরা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ শিশুই খাবারের অভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। দুর্বলতার কারণেই একের পর এক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বিভিন্ন নথি, ছবি ও ভিডিও পর্যালোচনা করে অনাথ আশ্রমের শোচনীয় পরিস্থিতির প্রমাণ পেয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমও। সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সাদা চাদরে বাঁধা শিশুদের মৃতদেহ কবর দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মীরা। অন্য একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, শুধু ন্যাপি পরা দুই ডজন শিশু একটি ঘরের মেঝেতে বসে আছে। তাদের অনেকেই কাঁদছে। মহিলা কর্মীরা তাদের কান্না থামানোর চেষ্টা করছেন।

আরও পড়ুন-বায়রনকে সংবর্ধনা

এক কর্মী জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে কাছাকাছি গোলাবর্ষণে অনাথ আশ্রমের বড় একটি অংশ ধুলোয় ঢেকে যায়। প্রবল গোলাবর্ষণে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে শিশুরাও। পরে বাচ্চাদের সরিয়ে বড় একটি ঘরে রাখা হয়। ২৭ মে ১৪টি শিশু এবং পরের দিন আরও ১২টি শিশু মারা যায়। ওই অনাথ আশ্রমের কর্মীদের আশঙ্কা, অবিলম্বে শিশুদের উপযুক্ত খাদ্য ও প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দেওয়া না হলে আরও শিশু মারা যেতে পারে।

Latest article