অর্পণ বর্ধন: মাঝসমুদ্রে ছিনতাই হয়ে গেল আন্তর্জাতিক পণ্যবাহী জাহাজ। লোহিত সাগরে কার্গো জাহাজ হাইজ্যাকের অভিযোগ উঠল ইরানের হুথি জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। ইজরায়েলের এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পণ্যবাহী জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইজরায়েলের স্পষ্ট অভিযোগ, হুথি জঙ্গিদের একটি দল যে পণ্যবাহী জাহাজটিকে হাইজ্যাক করেছে, সেই জাহাজটি তুরস্ক থেকে ভারতের দিকে যাচ্ছিল। আর এই হাইজ্যাকের পিছনে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে ইরানের। পাশাপাশি এমন ঘটনাকে জঙ্গি কার্যকলাপ বলে অভিহিত করেছে ইজরায়েল।
আরও পড়ুন-এবার মাইক্রোসফটে যোগ দিচ্ছেন অল্টম্যান? সত্য নাদেলার ঘোষণায় চমক
প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, ব্রিটিশ মালিকানাধীন ও জাপান চালিত পণ্যবাহী জাহাজটি ইরানের মিত্র হুথি জঙ্গিরা হাইজ্যাক করেছে। যদিও জাহাজটিতে কোনও ইজরায়েলি নাগরিক ছিলেন না বলেই জানা গিয়েছে। নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে ইরানের এই ঘৃণ্য জঙ্গি কার্যকলাপ বিশ্বব্যাপী প্রভাব ফেলবে। সূত্রের খবর, গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী নিয়ে জাহাজটি ভারতের দিকে যাচ্ছিল। জাহাজে ছিলেন ২৫ জন কর্মী। এঁরা ইউক্রেন, বেলারুশ, মেক্সিকো-সহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে জাহাজটিকে লোহিত সাগর থেকে ইয়েমেনের একটি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হুথি বিদ্রোহীদের সামরিক ইউনিটের এক মুখপাত্র বলেছেন, আমরা জাহাজের ক্রু মেম্বারদের সঙ্গে ইসলামিক নিয়ম-কানুন অনুযায়ী আচরণ করছি। জানা গিয়েছে, হুথি বিদ্রোহীরা প্রথমে জাহাজের দিকে একটি হেলিকপ্টার পাঠায় এবং তারপর যোদ্ধারা তা থেকে অবতরণ করে এবং ছিনতাই করে।
আরও পড়ুন-৩ বছর ধরে কী করছিলেন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল? তিরস্কার করল সুপ্রিম কোর্ট
ঘটনায় সরাসরি ইরানকে একহাত নিয়েছে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সচিবালয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের মদতে আন্তর্জাতিক জলপথের নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করা হচ্ছে। গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর হুথি সরাসরি প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র সংগঠনটির পাশে দাঁড়িয়েছে। এই আবহে জাহাজ ছিনতাইয়ের দাবি-পাল্টা দাবি নিয়ে পশ্চিম এশিয়ার রাজনীতি ফের সরগরম হয়ে উঠতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে প্যালেস্টাইনের ওপর অগ্রাসন বন্ধ না করলে হুথি জঙ্গিদের এমন কার্যকলাপ চলবে বলেও জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ড্রোন হামলাও অব্যাহত থাকবে বলেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।