প্রতিবেদন : করমণ্ডল এক্সপ্রসে দুর্ঘটনায় (coromandel express train accident) বরাত জোরে হয়তো অনেকেই প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের কেউ হাত কেউ বা পা হারিয়েছেন। কারও আবার হাত বা পায়ে ঢুকেছে লোহার রড। ফলে সুস্থ হয়ে উঠলেও আগামিদিনে তাঁরা কীভাবে ফের রোজগার করতে পারবেন তা নিয়ে প্রবল দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকদের অনেকেই। অনেকেই ছিলেন পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য। হাত-পা হারিয়ে কীভাবে স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের মুখে অন্ন তুলে দেবেন সেই চিন্তায় ঘুম উড়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। গুরুতর জখম এই শ্রমিকদের বেশিরভাগই ছিলেন চেন্নাইমুখী করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (coromandel express train accident) অসংরক্ষিত কামরায়। এঁদের বেশিরভাগই পেশায় রাজমিস্ত্রি। কেরল, কর্নাটক এবং তামিলনাড়ুতে কাজে যাচ্ছিলেন তাঁরা। রেল সূত্রে খবর, করমণ্ডল এক্সপ্রেসে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা অধিকাংশই বিহার, ঝাড়খণ্ড, অসম এবং পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। বিহারের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা ২২ বছরের প্রকাশ রাম ছিলেন করমণ্ডলের যাত্রী। দুর্ঘটনার কারণে ডান পা কেটে বাদ গিয়েছে প্রকাশের। ভুবনেশ্বরের এসসিবি হাসপাতালে ভরতি প্রকাশ। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে প্রকাশ জানান, তিনিই বাড়ির একমাত্র রোজগেরে সদস্য। পা হারিয়ে তিনি কীভাবে রোজগার করবেন। খোঁড়া মানুষকে আর কে কাজ দেবে? অসমের বাসিন্দা সৃষ্টিধর বোড়ার হাতে অস্ত্রোপচার করে লোহার রড ঢোকানো হয়েছে।