প্রতিবেদন : একটি চাকরি। প্রথমে অঙ্কিতা অধিকারী। তারপর ববিতা সরকার এবং সব শেষে অনামিকা রায়। আদালতের নির্দেশে পাওয়া চাকরি নিয়ে তুমুল বিতর্ক। ফের মামলা। চাকরিপ্রার্থীরাই প্রশ্ন তুলেছেন। আদালতের নির্দেশেই চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা সরকার। তাহলে অনামিকা দাবি করেন কী করে? তাঁর দাবি যদি সঠিক হয় তাহলে আদালতের উপর মানুষের ভরসা থাকবে তো? অথচ দেশের প্রত্যেকটি মানুষ বিশ্বাস করেন, সব বিতর্কের সমাধান রয়েছে আদালতেই।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রকে দুষে চায়ের দোকান বিটেক পাশের
আদালতের নির্দেশে অঙ্কিতা অধিকারী চাকরি হারান। মামলা করে এবং নিজেকে যোগ্য প্রমাণিত করলে অঙ্কিতার চাকরি যায় এবং সেই চাকরি পান ববিতা। শুধু তাই নয়, ৪১ মাস অঙ্কিতা যে বেতন পেয়েছিলেন, সেই ১৬ লাখ টাকা সবটাই দিতে হয়েছিল ববিতাকে। এবার ববিতা চাকরি শুরু করেন। চাকরি শুরুর ৬ মাসের মধ্যেই নয়া মোড়। অনামিকা রায় কোর্টে মামলা দায়ের করে দাবি করেছেন, ববিতা নয়, বেশি নম্বর পাওয়ায় তিনিই ওই চাকরির দাবিদার। আজ, বুধবার শুনানি হবে। কিন্তু শিক্ষকের চাকরিপ্রার্থীরা নিতান্তই হতাশ। তাঁরা বলছেন, কোর্টের তত্ত্বাবধানে একজনকে বরখাস্ত করে অন্যজনকে চাকরি দেওয়ার পরেও যদি এই বিতর্ক শুরু হয়, তাহলে আগামিদিনে অন্য মামলাগুলির ভবিষ্যৎ কী হবে? ১৬ লাখ টাকা এবার কে কাকে ফেরত দেবে? হিসেব বলছে অনামিকার দাবি সঠিক হলে ববিতাকে প্রায় ২০ লাখ টাকা ফেরত দিতে হবে। এই নিয়ে আদালত চত্বর সরগরম। প্রত্যেক দিনই আদালত চত্বরে চাকরি নিয়ে বিচারপতিদের নানা বিস্ফোরণ শোনা যায়। কিছু ‘অবজারভেশন’ও শুনতে পাওয়া যায়। তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠেছে এবার অবজারভেশন কী হবে? কী বলা হবে? একটি চাকরি নিয়ে এতো বিতর্ক হবে কে ভাবতে পেরেছিল?