প্রতিবেদন : বুধবার বাঁকুড়া দেখল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই চেনা মেজাজ, তাঁকে ঘিরে সেই চিরাচরিত জনসমুদ্র। গোটা বাংলার মতো জঙ্গলমহলের এ-প্রান্তেও মমতা ম্যাজিক কাকে বলে ফের দেখল বাঁকুড়াবাসী। আদিবাসী জনজাতি গোষ্ঠীর মানুষেরা এসেছিলেন ভিড় করে। বিশেষ করে মহিলাদের উপস্থিতি নজর কেড়েছে। সেই সাতসকাল থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে একবার দেখার জন্য জনতার এই আকুলতা বুঝিয়ে দেয় বাংলা ঘরের মেয়েকেই চায়। সেটাই নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যারিশমা। মঙ্গলবারের পর বুধবারও তাঁকে ঘিরে জন-উচ্ছ্বাস। বুধবার, খাতড়ার সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ঢুকতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে উপস্থিত জনতা। এদিন, প্রশাসনিক সভা, পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে আপ্লুত তো বাঁকুড়াবাসী।
আরও পড়ুন-মধ্যপ্রদেশে গভীর রাতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, মৃ.ত ১৪
সোমবার, দুর্গাপুর দিয়ে সফর শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও সেখানে তাঁর কোনও প্রশাসনিক কর্মসূচি ছিল না। মঙ্গলবার যান পুরুলিয়া। সেখানে থেকে বিকেলেই আসেন বাঁকুড়া। তখনই টের পাওয়া যায়, কী বিপুল জনসমর্থন রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাস্তার দু’ধারে তাঁকে একঝলক দেখতে ভিড় উপচে পড়ে। আর সেই ভিড়ই জনসমুদ্রের আকার নেয় খাতড়ার সভায়। এদিনের সভায় লক্ষ করার মতো ছিল যুব প্রজন্মের ভিড়। কন্যাশ্রী থেকে যুবশ্রী, রূপশ্রী-সবাই হাজির ছিলেন খাতড়ার সভায়। চারিদিকে শুধু কালো মাথা। শুধু তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক নন, ছিলেন অগণিত স্থানীয় মানুষ। তাঁদের হাতে ছিল রাজ্য সরকারের জনমুখী প্রকল্পের নামের প্ল্যাকার্ড। আর ছিলেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাওয়া মহিলারা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানান তাঁরা। বয়স্করা করেন প্রাণ ভরা আশীর্বাদ। বাংলার উন্নয়নে একের পর এক প্রকল্প ঘোষণা করছেন মুখ্যমন্ত্রী, আর ছাত্র-যুব থেকে সব বয়সের মানুষ উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ছে।
আরও পড়ুন-ওয়েবকুপার নতুন কমিটি সভাপতি ব্রাত্য
অনুষ্ঠানের শেষে মঞ্চে ধামসা বাজিয়ে, আদিবাসী নৃত্যশিল্পী আর রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী জোৎস্না মাণ্ডির সঙ্গে গানের তালে পা মিলিয়ে জনসমুদ্রকে উত্তাল করে দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সবার মুখ একটাই স্লোগান, জয় মমতা, জয় বাংলা। আর এই উচ্ছ্বাসই ইঙ্গিত দেয় ১০ মার্চ বিগ্রেডে তৃণমূলের ‘জনগর্জন সভা’য় রেকর্ড জমায়েত হতে চলেছে।