প্রতিবেদন : অল গেট। রেড রোড থেকে বাঁশের খাচার মধ্যে ঢুকে পড়াটা কষ্টের ছিল। কিন্তু অল গেট লেখা থাকলে তার মধ্যে দিয়ে শরীর গালিয়ে দেওয়াটাই বাধ্যতামূলক। ভিড়ে তুমুল ঠেলাঠেলি। কিন্তু কারও অভিযোগ নেই। ইডেনমুখী জনতা ভরদুপুরে এটা ভেবেই খুশি যে, ক্রিকেট ফিরল সাড়ম্বরে। পুরনো মেজাজে।
আরও পড়ুন-তৃণমূলের বৈঠকে বোমাবাজি, ধৃত ১২
কতদিন? হিসেব বলছে ২০১৭-র নভেম্বরে শেষবার পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচ হয়েছে ইডেনে। তারপর দুটো টি ২০ ম্যাচ হলেও একদিনের ম্যাচ এটাই। জনতার ঢল দেখে মনে হল এতো সেই আগের ছবি। শীতের রোদ্দুর গায়ে মেখে ক্রিকেট দর্শন। শুধু কমলা লেবু, আলুর দম আর পাউরুটি নেই। ছিলও না অনেকদিন। এখন বাইরের খাওয়ার নিয়ে মাঠে ঢোকা বারণ তাহলে আর কমলালেবুর আফসোস করে কী হবে!
দুপুরের দিকে গ্যালারি বেশ ফাঁকা দেখাচ্ছিল। হল কী লোকের? সিএবি কি টিকিট কম ছেড়েছে? এসব ভাবনার মধ্যে ভিড় বাড়ল সিংহলীদের ইনিংসের শেষের দিকে। তবে ফুল হাউস নয়। সেটা নিয়ে অবশ্য কেউ মাথা ঘামিয়েছে বলে মনে হয়নি। ক্লাব হাউসে দাঁড়িয়ে পিছনে মাঠকে রেখে দেদার সেলফি উঠল। কোভিড এই জায়গাটাই আটকে রেখেছিল তিন বছর।
আরও পড়ুন-পৌলমীকে চাকরির আশ্বাস ক্রীড়ামন্ত্রীর
দেড়শো টাকায় ইন্ডিয়া জার্সি বিকোলো ধর্মতলায়। চলতে চলতে টুক করে নিল জার্সি গায়ে গলিয়ে মাঠে ঢুকে পড়লেন অনেকে। দাড়ান, শুধু জার্সি কেন হেড ব্যান্ডও বিক্রি হল প্রচুর। বাবার হাত ধরে কিশোর, খুদে সবাই ম্যাচ দেখল মন ভরে।
শ্রীলঙ্কা দশ ওভার বাকি থাকতেই ইনিংস শেষ করেছে। কিন্তু তাতে আফসোস
নেই কারও। কোভিড হারিয়ে ক্রিকেট ফিরেছে, এতেই আনন্দ ভক্তদের। এখন অপেক্ষা বিশ্বকাপের। যা ভারতেই হবে অক্টোবর-নভেম্বরে।