পাহাড়ে ঢালাও লগ্নি

Must read

রিতিশা সরকার, কার্শিয়াং : বাম আমলের অশান্ত পাহাড়ে ক্ষমতায় এসেই শান্তি ফিরিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারবার পাহাড়ে গিয়ে পাহাড়বাসীর মন জয় করেছিলেন। উন্নয়নে সর্বাত্মক উদ্যোগও নিয়েছিলেন। যার জেরে পাহাড়েও উন্নয়নের জোয়ার আসে। শেষবার পাহাড়ে এসেছিলেন ২০১৯-এর অক্টোবর। দু’বছর বাদে এলেন এবং একইরকমভাবে পাহাড়ের উন্নয়নে গুরুত্ব দিলেন। দুই জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে উন্নয়নের দরজা আরও উন্মুক্ত হল। শুরুতেই ছ’টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী— ২.৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংডুবির ফরেস্ট বাংলো, ৫৭ লক্ষ টাকায় রূপসিং জোট বাংলো, ৪.৫৩ কোটি টাকায় খড়িবাড়ি মডেল স্কুল, পঞ্চনই থেকে মাটিগাড়া হিলকার্ট রোড সেতু, গরুবাথানে উন্নয়নমূলক ব্লগ কলিম্পং-এ ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বাংলো। এদিন মুখ্যসচিব মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, নিউ চামটা চা-বাগানে ৫ একর জমি দিয়েছিল সরকার।

আরও পড়ুন : সংক্রমণের লাগাম দিতে রাজপুর-সোনারপুরে তিনদিন কার্যত ‘লকডাউন’-এর সিদ্ধান্ত

সেখানে ২৪০ কোটি টাকায় মে ফেয়ার হোটেল হয়েছে, যেখানে ৪০০ জনের বেশি কর্মীর চাকরি হয়েছে, যার মধ্যে ২৫০ জন স্থানীয় মানুষ। ব্যাংডুবিতে ২.৬ কোটি দিয়ে হবে ফরেস্ট বাংলো। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে জানান, কলকাতার ধাঁচে পাহাড়েও ‘জয় হিন্দ ভবন’ হবে দার্জিলিং, কার্শিয়াং, মিরিক ও কালিম্পংয়ে। এর জন্য ১০ কোটি টাকা ধার্য করেছেন। পাহাড়ের উন্নয়নে বাজেট বাড়িয়ে ১৭৫ কোটি টাকা ধার্য হয়েছে। এর মধ্যে গত সোমবার ৪৩ কোটি দেওয়া হয়েছে। উন্নয়ন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী শিল্পপতিদের মতামত নেন। সিআইআইয়ের পক্ষেও নানা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ে টি ট্যুরিজম ও পর্যটনশিল্পকে আরও গুরুত্ব দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। জিটিএ-র মাধ্যমে পাহাড়ে উন্নয়ন সম্ভব। তাই বর্তমান প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি অজিতরঞ্জন বর্ধনের উপরে কাজের চাপ বেড়েছে বলে জেলাশাসক এস পুননাবালামকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।

Latest article