প্রতিবেদন : গত কয়েকদিন ধরে মহারাষ্ট্রে চরম রাজনৈতিক ডামাডোল চলছে। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ডেকে পাঠাল শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতকে (Sanjay Raut) । মঙ্গলবার সকাল ১১টার সময় রাউতকে মুম্বইয়ে ইডির দফতরে হাজির হওয়ার কথা বলা হয়েছে। ১০৩৪ কোটি টাকার পাটরা চউল জমি কেলেঙ্কারির ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাউতকে (Sanjay Raut) তলব করেছে ইডি। যদিও রাউত এদিন স্পষ্ট জানিয়েছেন, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বিরোধীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্রে শিবসৈনিকরা এক বড় রাজনৈতিক যুদ্ধ করছে। সেই যুদ্ধ থামাতেই এই ষড়যন্ত্র ইডির। তবে এভাবে আমাদের থামানো যাবে না। আমার মাথা কেটে ফেললেও মঙ্গলবার আমি কোনওভাবেই ইডির দফতরে যাব না। প্রয়োজনে আমি ইডির কাছে সময় চেয়ে নেব। আমি ভীত নই। আমি গুয়াহাটি চলেও যাচ্ছি না। রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র সাকেত গোখেলও রাউতকে তলবের তীব্র সমালোচনা করেছেন। সাকেত বলেছেন, নির্লজ্জ মোদি জরুরি অবস্থার কথা বলেন। অথচ তাঁর সরকারই বেছে বেছে বিরোধী নেতাদের হেনস্তা করছে। শিবসেনা সংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী বলেছেন, ইডি যে সম্পূর্ণ বিজেপির নিয়ন্ত্রণাধীন এবং তাদের কথামতোই চলে সেটা ফের প্রমাণ হল। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই মুহূর্তে রাজ্যে শিবসেনা তীব্র সংকটে পড়েছে। সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে কাজ করছেন রাউত। রাউতকে দুর্বল করে শিবসেনা ভাঙার কাজ সহজ করতেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করছে মোদি সরকার। উল্লেখ্য, এর আগে আর্থিক দমন প্রতিরোধ আইনে রাউতের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। মুম্বইয়ে একটি বস্তি পুনর্নির্মাণ প্রকল্পে ১০৩৪ কোটি টাকার কেলেঙ্কারির ঘটনায় তদন্ত শুরু ইডি রাউতের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে।
আরও পড়ুন: বিজেপি-আশ্রিত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে মহামিছিল