প্রতিবেদন : ঘৃণা ভাষণ বন্ধ করতে করতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সুপ্রিম নির্দেশও মানতে রাজি নন বিজেপি নেতারা। কর্নাটকের এক নির্বাচনী প্রচার সভায় ফের বিজেপি বিধায়ক বাসবনাগৌড়া পাটিল ইয়াতনালকে বিদ্বেষ ও বিভাজনমূলক মন্তব্য করতে শোনা গেল। বিজয়পুরায় এক জনসভায় এই বিজেপি বিধায়ক বলেন, ভারত অথবা হিন্দুদের নিয়ে কেউ কিছু বললেই গুলি করা হবে। হিন্দুদের বিশ্বাস সম্পর্কে কোনও কথা বলা হলে কাউকেই রেয়াত করা হবে না। শুধু তাই নয়, আঙুল দিয়ে গুলি চালানোর ভঙ্গিও করেন তিনি।
আরও পড়ুন-তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা
নির্বাচনী প্রচারে ক্যামেরার সামনে এমনই হুমকি দিতে দেখা গেল বিজেপি বিধায়ক বাসবনাগৌড়াকে। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি বিধায়কের এই হুমকিতে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই এই বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। কংগ্রেসের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে উপেক্ষা করেই বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরা ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন। বিজেপির ক্ষেত্রে কমিশন নীরব দর্শক।
আরও পড়ুন-১৯ দিনে দ্বিতীয় খুন, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন, ফের বন্দি-সংঘর্ষ তিহারে, নিহত বিচারাধীন গ্যাংস্টার
চলতি মাসের ১০ তারিখে বিধানসভা নির্বাচন কর্নাটকে। কিন্তু কেন হঠাৎ এমন কথা বলতে গেলেন তিনি?
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে পুলিশের সামনে আততায়ীর গুলিতে নিহত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ প্রসঙ্গেই এই কথা বলেছেন বাসবনাগৌড়া।
আরও পড়ুন-কর্নাটকের এক-তৃতীয়াংশ জেলাই দারিদ্র আর অপুষ্টির শিকার
বিজেপি রাজ্যে ফের ক্ষমতায় এলে এবার এই রাজ্যেও উত্তরপ্রদেশের যোগী মডেল ফলো করা হবে, এমনটাই দাবি ছিল তাঁর। কিন্তু এক্ষেত্রেও প্রশ্ন ওঠে, কেউ কি আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারে? অপরাধীদের সাজা দেওয়া তো আদালতের কাজ। তবে বাসবনাগৌড়া একা নন। সম্প্রতি প্রবীণ বিজেপি নেতা কে এস ঈশ্বরাপ্পা মাইক্রোফোনে আজান নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন। তা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়।