কর্নাটকের এক-তৃতীয়াংশ জেলাই দারিদ্র আর অপুষ্টির শিকার

মহিলা ও শিশু উন্নয়ন দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, কর্নাটকে বেশ কয়েকটি জেলা অপুষ্টির দিক থেকে দেশের মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।

Must read

প্রতিবেদন : কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের জন্য সোমবার দলীয় ইস্তাহার প্রকাশ করেছে বিজেপি। যথারীতি জনগণের মন পেতে ইস্তাহারে একের পর এক অসত্য প্রলোভন দিতে দেখা গিয়েছে বিজেপিকে। অথচ কর্নাটকের মূল সমস্যা হল শিশু অপুষ্টি এবং মহিলাদের দুর্বল স্বাস্থ্য। রাজ্য সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী কর্নাটকে ২.৩১ লক্ষ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। বিরোধীদের তোলা অভিযোগ নয়, রাজ্য সরকারের মহিলা ও শিশু উন্নয়ন দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, ডবল ইঞ্জিন শাসিত সরকার কর্নাটকের এক-তৃতীয়াংশ জেলাই দারিদ্র আর অপুষ্টির শিকার। যদিও বিজেপির দাবি, কর্নাটকে গর্ভবতী মহিলা এবং শিশুদের অপুষ্টি অনেকটাই দূর হয়েছে। শিশুমৃত্যুর হার কমেছে। কিন্তু বিজেপির এই প্রচার নিতান্তই মেকি বলে বিরোধীদের অভিযোগ।

আরও পড়ুন-নাগরিকদের উপর নজরদারির চেষ্টা?

যদিও কর্নাটক সরকারের হিউম্যান ডেভেলপমেন্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যের এক-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৩০টি জেলার মধ্যে ১০টিই গুরুতর দারিদ্র ও অপুষ্টির শিকার। যার মধ্যে রয়েছে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের জেলা হাভেরিও। হাভেরি ছাড়াও ইয়াদগির, কালাবুরাগি, রাইচুর, কোপ্পাল, বেল্লারি, বিদার, গদগ, বাগলকোট এবং বিজয়পুরা এই ১০টি জেলা চরম দারিদ্র ও অপুষ্টির শিকার। ইয়াদগির এবং কোপ্পাল জেলায়, ৫ বছরের কম বয়সি ৪৫ শতাংশ শিশুর ওজন কম। ইয়াদগির জেলার পাঁচ বছরের কম বয়সি ৭৬ শতাংশ শিশু রক্তশূন্য। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর জেলা হাভেরিতেই ৭০ শতাংশ শিশু রক্তাল্পতায় ভুগছে। রাইচুর জেলার ১৫-১৯ বছর বয়সি ৬৪.৮ শতাংশ মহিলা রক্তশূন্য। ৩১ মার্চ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার লোকসভায় স্বীকার করেছিলেন, কর্নাটকে শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি এবং রক্তাল্পতার হার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে অনুযায়ী, কর্নাটকে পাঁচ বছরের কম বয়সি ৩৫.৪ শতাংশ শিশুর শারীরিক বিকাশ হয়নি। তথ্য অনুযায়ী কর্নাটকের প্রায় প্রতি তিনটি শিশুর মধ্যে একটি তার বয়সের তুলনায় ওজন কম।

আরও পড়ুন-দুর্যোগ মোকাবিলায় সমন্বয়

মহিলা ও শিশু উন্নয়ন দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, কর্নাটকে বেশ কয়েকটি জেলা অপুষ্টির দিক থেকে দেশের মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বারবার কর্নাটকে গিয়ে ডবল ইঞ্জিন সরকারের সাফল্যের কথা প্রচার করে এসেছেন। অথচ সরকারি পরিসংখ্যান সম্পূর্ণ অন্য কথা বলছে। শিশুদের পুষ্টির অভাব হলে রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বেশি। মারাত্মক অপুষ্টির কারণে ৫ বছরের কম বয়সি শিশুদের মৃত্যুর সম্ভাবনা বাড়ে। কর্নাটকে ডাবল ইঞ্জিন সরকার থাকা সত্ত্বেও রাজ্যের মহিলা ও শিশুদের স্বাস্থের যে কোনও উন্নতি হয়নি সরকারের রিপোর্টই তার প্রমাণ।

Latest article