মোদির ডাক উপেক্ষা করে প্রতিষ্ঠা দিবসে জেলা কার্যালয়ে বিক্ষুব্ধদের তালা

বৃহস্পতিবার ছিল বিজেপির স্থাপনা বা প্রতিষ্ঠা দিবস। এই উপলক্ষে দিল্লির সদর দফতর থেকে কর্মীদের বার্তা দেন দলের সর্বেসর্বা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

Must read

প্রতিবেদন : বৃহস্পতিবার ছিল বিজেপির স্থাপনা বা প্রতিষ্ঠা দিবস। এই উপলক্ষে দিল্লির সদর দফতর থেকে কর্মীদের বার্তা দেন দলের সর্বেসর্বা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু দলের প্রধান নেতা মোদির নির্দেশকেই অবজ্ঞা করলেন বিজেপির বিক্ষুব্ধ কর্মীরা। মোদির প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের ডাক উপেক্ষিত থেকে গেল বিজেপি কর্মীদের কাছেই। বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলে উত্তাল হয়ে উঠল বর্ধমান। দলের জেলা কার্যালয়ে ঝুলল তালা। আর সেটাও ঝুলিয়ে দিলেন বিরোধীদের কেউ নন, বিজেপিরই বিক্ষুব্ধ কর্মী-সমর্থকরা।

আরও পড়ুন-বিদ্যুৎকেন্দ্রের ছাইয়ের গাড়ি ভাঙছে গ্রামের রাস্তা

আদি বিজেপির বিক্ষোভের পালটা সরব হয় নব্যরা। সবমিলিয়ে বৃহস্পতিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বর্ধমানের ঘোড়চটি এলাকা। যদিও নব্য বিজেপি অপপ্রচার করে বলে, তৃণমূলের ইন্ধনে নাকি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন দল থেকে বহিষ্কৃত নেতারা। কিন্তু আদি বিজেপির পাল্টা দাবি, ‘বর্তমান জেলা সভাপতি ও যুব সভাপতি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের বিরুদ্ধেই এই প্রতিবাদ।’ বৃহস্পতিবার দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে পতাকা উত্তোলন করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। রাজ্য দফতরে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ভার্চুয়ালি শোনানো হয়। জেলায়-জেলায় কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। সেই অনুযায়ীই অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় বর্ধমানে জেলা সদর দফতরে। কিন্তু সকালে বহিষ্কৃত নেতা শ্যামল রায়ের নেতৃত্বে বিজেপির একদল কর্মী-সমর্থক বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তালা ঝুলিয়ে দেন দলীয় কার্যালয়ের গেটে।

আরও পড়ুন-কর্মবিরতি উপেক্ষা করে শিবিরে কাজ করলেন সরকারি কর্মীরা

সেই তালা ভেঙেই ভিতরে ঢুকতে হয় জেলার নেতা-কর্মীদের। দু’পক্ষের বচসা থেকে বেধে যায় হাতাহাতিও। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঘোড়চটি এলাকা। বিক্ষোভকারী বিজেপির প্রাক্তন নেতা শ্যামল রায় জানান, ‘জেলা সভাপতি ও জেলার যুব সভাপতি দুর্নীতিগ্রস্ত। তাঁদের পরিবারের চাকরি দেওয়া নিয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তাঁরা দলকে না জানিয়ে একাধিক কাজ করেন। নানা কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত। ওঁদের নেতা থাকার অধিকার নেই।’ বিজেপির জেলা যুব মোর্চা সভাপতি পিন্টু শ্যাম তৃণমূলের ঘাড়ে পরোক্ষে দোষ চাপিয়ে বলেন, ‘শ্যামল রায়ের ইন্ধনে এটা হয়েছে। এরা বিজেপি কর্মী হলে এমন ঘটনা ঘটাতে পারত না। মনে হচ্ছে এর পিছনে তৃণমূলের ইন্ধন রয়েছে।’

Latest article