ভয়াবহ অবস্থা পাকিস্তানে। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সে দেশের। ইমরান খান (Imran Khan) গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে বিক্ষোভ চলছে পাকিস্তানে। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর থেকে শুরু করে সেনা শিবিরে হামলা চালাচ্ছে পিটিআই প্রধান ইমরানের সমর্থকরা। এমনকী এক উচ্চপদস্থ সেনা অফিসারের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে আনাজপাতি, ঘরের খাবার-দাবারও লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে হামলার হাত থেকে বাদ যায়নি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) বাসভবনও। জানা গিয়েছে, তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ছোঁড়া হয়। যদিও সেই সময় শাহবাজ (Shehbaz Sharif) এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে ছিল না ফলে তাঁদের কোনও ক্ষতি হয়নি।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত দু’দিনে মোট ১৪টি সরকারি ভবন এবং ২১ টি পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। ইতিমধ্যেই অশান্তি বাধানোর অভিযোগে হাজারেরও বেশি ইমরান সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পাক সেনা, রেঞ্জার্স এবং পুলিশ। এই ঘটনার পরই বিক্ষোভকারীদের কঠোর হাতে দমনের হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘যারা এভাবে দেশজুড়ে আগুন জ্বালাচ্ছেন, তাঁরা দেশের শত্রু। এঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হচ্ছে। আর সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনাকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ হিসেবে দেখা হবে। যাঁরা নিজেদের হাতে আইন তুলে নিচ্ছেন, তাঁদের মোকাবিলা করবে সরকার।’
আরও পড়ুন- যুদ্ধের খবর করতে গিয়ে প্রাণ হারালেন এএফপির সাংবাদিক
তবে শাহবাজের এসব হুঁশিয়ারিকে কার্যত ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন ইমরান সমর্থকরা। পাক পাঞ্জাব পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার ভোরে অন্তত ৫০০ জন ইমরান সমর্থক লাহোরের মডেল টাউনে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হামলা চালায়। বাড়ির বাইরে একটি পুলিশ ফাঁড়ি ও কয়েকটি গাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ছোড়া হয়।
এদিকে শুধু ইমরান খান নন, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের অন্যতম শীর্ষ নেতা ফাওয়াদ চৌধুরীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে অভিযুক্তকে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়। লাহোর পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে ১৪টিরও বেশি সরকারি ভবনে ভাঙচুর এবং ২১টির বেশি পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয়েছে সেনাও।