‘যাও উড়ে নীলকণ্ঠ পাখি, যাও সেই কৈলাসে,
দাও গো সংবাদ তুমি, উমা বুঝি ওই আসে।’—
প্রথা অনুযায়ী, দশমীর দিন দুটি নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো হয়। প্রথমটি মণ্ডপ থেকে দেবীদুর্গার যাত্রা শুরু হওয়ার সময় ও অপরটি দেবীদুর্গার নিরঞ্জনের পর।
আরও পড়ুন-একলা চলো রে
নীলকণ্ঠ পাখি এখন প্রতীকী
দশমী মানে পুজোর শেষ। আনন্দ উৎসবের হয় ইতি। এমনকী পাল্টে যায় ঢাকের বোল। যে ঢাকিরা নবপত্রের স্নান থেকে আনন্দের বোল বাজিয়ে এসেছে, তাদের ঢাকেই বাজে বিদায়ের করুণ সুর।
‘ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ, ঠাকুর যাবে বিসর্জন।’ উমার চলে যাওয়া বাঙালির কাছে বড় বেদনার, বড় বিষাদের। মা এসে বছরের কয়েকটা দিনে আমাদের সমস্ত দুঃখ ভুলিয়ে দেন। বাঙালি আনন্দে মেতে ওঠে। তবু সেই মাকেও চলে যেতে হয় সময়ের নিয়মে। ‘নবমী নিশি রে, তোর দয়া নাই রে’ বলে প্রাণ কাঁদলেও দশমীর সকাল তার নিয়ম মতোই এসে পড়ে।
কিন্তু মা দুর্গার চলে যাওয়া বলে কথা। তাঁকে তো আর যেমন-তেমন ভাবে যেতে দেওয়া যায় না। কথায় আছে যে, মেয়ে বাপের বাড়ি এলে তার চলে যাওয়ার সময় মন ভারাক্রান্ত হলেও নিয়মের ত্রুটি রাখতে নেই।
আর প্রাচীনকাল থেকেই মা দুর্গাকে বাড়ির মেয়ের সঙ্গেই তুলনা করেই আসা হয়। তাই সমস্ত খুঁটিনাটি নিয়ম মেনে আজও উমাকে শ্বশুরবাড়ি পাঠানোর রীতি পূর্বজ প্রথা মেনেই চলে আসছে। গন্ধলেবু দিয়ে পান্তাভাত, নারকেল নাড়ু খাইয়ে মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠানো হয়। আর মেয়ে একা শ্বশুরবাড়ি ফিরবে, শিব আসেননি তাকে নিতে। তাই তাঁকেও জানাতে হবে। অতএব নীলকণ্ঠ পাখি উড়িয়ে কৈলাসে খবর দেওয়া হত যে মা ফিরছেন। বহু বনেদি বাড়ির পুজায় এই প্রথার প্রচলন ছিল।
এখন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন হবার ফলে অনেক জায়গায় এই প্রথা উঠে গেছে। কেউবা নীলকণ্ঠ পাখির বদলে অন্য পাখি ব্যবহার করেন। কেউ পায়রার গলায় নীল রঙ লাগিয়ে তাকে উড়িয়ে নিয়মরক্ষা করেন। কেউ-বা বন্দুকের গুলির শব্দ করে পুজো সমাপ্তির ঘোষণা করে।
এইভাবেই সেই প্রাচীন সময় থেকেই বঙ্গদেশ দেখে আসছে বিজয়ার লোকাচার। বারোয়ারি পুজোর বাইরে, ঐতিহ্যশালী ও বনেদি পুজোগুলোয় ব্যবহার হত তাই নীলকণ্ঠ পাখি। দশমীর দিন এই পাখি না থাকলে বাংলার আসল উপাচারই যে করা হবে না।
আরও পড়ুন-স্বনির্ভর হওয়ার ডাক দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী
নীলকণ্ঠ পাখির কথা
পোশাকি নাম ‘ইন্ডিয়ান রোলার’। বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘কোরাসিয়াস বেনঘালেনসিস’। আদরের নাম নীলকণ্ঠ পাখি। তার চেহারার বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে মানানসই।
দুর্গাপুজোর সঙ্গে গভীর সম্পর্ক এই পাখির।
ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন অংশে এই পাখি পাওয়া যায়। মূলত ঘাসজমি ও ঝোপঝাড়ের বাসিন্দা এই পাখি আকারে ছোট, দেখতে বাহারি। বাংলার ঘাসজমিতে এই পাখির একটি প্রজাতিকে দেখে কার্ল লিনেয়াস এর নামকরণ করেছিলেন নীলকণ্ঠ।
এই পাখির ডাক কিন্তু মিষ্টি নয়, বরং কিছুটা কর্কশ। ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা নীলকণ্ঠকে ওড়িশা, কর্নাটক এবং তেলঙ্গনার ‘স্টেট বার্ড’ হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছে।
এই পাখিকে আবার ‘কৃষকবন্ধু’ বলা হয়। বর্ষা শেষে এ-পাখির আগমন ঘটে। ধানখেতে পোকা খায়। কিন্তু বর্তমানে জমিতে প্রচুর পরিমাণে কীটনাশক ব্যবহার করার ফলে সংখ্যায় কমছে নীলকণ্ঠ। আবার তথ্য অনুযায়ী, পুরনো গাছ কাটাও নীলকণ্ঠ পাখির হ্রাসের অন্যতম কারণ। নীলকণ্ঠরা পুরনো লম্বা গাছে বাসা বাঁধে। ডিম দেওয়ার জন্য গাছের কাণ্ডে একটি গহ্বর তৈরি করে। কিন্তু গাছই যদি না থাকে, তাহলে পাখিই বা থাকবে কোথায়!
আরও পড়ুন-স্বাধীন ব্যবসার প্রতি অনাগ্রহ অযৌক্তিক আত্মঘাতী প্রবণতা
বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে এই একরত্তি পাখি গভীর ভাবে জড়িয়ে। আর তার বঙ্গজ নামে তো স্বয়ং মহাদেব বিরাজমান। ২৬ থেকে ২৭ সেন্টিমিটার লম্বা এই পাখির দেহ, লেজ ও ডানায় উজ্জ্বল নীল রঙের জৌলুস দেখার মতো।
শিব বিষপান করে ‘নীলকণ্ঠ’ হয়েছিলেন। আর এই সরল পাখিটিও মনুষ্যত্বের বিষ কোনওরকম দায় ছাড়াই আপন কণ্ঠে ধারণ করে নিশ্চিহ্ন হতে বসেছে। ঠিক এই কারণেই এরা নীলকণ্ঠ।
দুর্ভাগ্য যে, এখন ভারতের মূল ভূখণ্ডে এরা লুপ্তপ্রায়। মাইগ্রেশন অঞ্চলে এদের মেরে প্রায় নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বঙ্গদেশের প্রাচীন রীতি পালন করতে গিয়ে প্রতি বছর নির্বিচারে মারা পড়ত অগণিত নীলকণ্ঠ। তাদের নৃশংসভাবে ধরে বন্দি করে রাখা হত। তারপর বিজয়া দশমীতে দশভুজাকে বিসর্জনের আগে খাঁচা খুলে উড়িয়ে দেওয়া হত আকাশে।
আর সেখানেই দেখা দিত বিপত্তি। ধরে-বেঁধে রাখা আহত পাখি উড়তে পারত না কিছুতেই। ফলে কিছু দূর যাওয়ার পরেই তাকে আক্রমণ করত কাকের দল। তাদের আক্রমণ থেকে রেহাই পেত না ছোট আকারের এই পাখি। ফলে প্রতি বছর প্রাণ যেত বহু নীলকণ্ঠের। কয়েক বছর আগে নীলকণ্ঠ পাখি বন্দি করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে বন্ধ হয়েছে নীলকণ্ঠ পাখির অকালনিধন।
আরও পড়ুন-নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ চঞ্চল নন্দী হাইকোর্টে হার, আদালতে পুলিশি তদন্তের অনুমতি
দুর্গাপুজোয় নীলকণ্ঠ পাখির গুরুত্ব
রামায়ণের কাহিনি থেকেই ‘নীলকণ্ঠ’ পাখি পুজোর আঙিনায় নিজের জায়গা তৈরি করে রেখেছে। মনে করা হয়, রাবণবধের ঠিক আগে এই পাখিটির দেখা পান রামচন্দ্র। আর তার আগেই তিনি সম্পন্ন করেছেন অকালবোধন! আবার এক অংশের মতে, রাবণবধের আগেও, সেতুবন্ধনের সময় হাজির হয়েছিল নীলকণ্ঠ পাখি। পথ দেখিয়ে রাম-বাহিনীকে লঙ্কায় নিয়ে গিয়েছিল সে। এরকম পৌরাণিক কাহিনি থেকেই এই পাখির মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়ে সব জায়গায়। তখন থেকেই প্রচারিত হয়, এই পাখির দর্শন অত্যন্ত শুভ।
আর ‘নীলকণ্ঠ’ বললে ফিরে যেতে হবে পুরাণে। সমুদ্রমন্থনের সময় বিষ উঠে এলে দেবতা ও অসুরদের রক্ষা করতে চলে আসেন স্বয়ং দেবাদিদেব মহাদেব। সেই তীব্র বিষ নিজেই পান করেন; আর বিষের জ্বালায় তাঁর কণ্ঠ নীল হয়ে যায়। সেখান থেকেই তাঁর আরেক নাম ‘নীলকণ্ঠ’। এই পাখিটিকে দেখলেও অনেকটা সেই কথাই মনে পড়বে। শরীর জুড়ে যেন নীলের খেলা। আর সেখান থেকেই উঠে আসে নীলকণ্ঠ।
মনে করা হয়, নীল কণ্ঠের জন্য এই পাখি স্বয়ং শিবেরই এক সঙ্গী। বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেবে উমা। সেই খবর আগে জানাতে হবে না ভোলানাথকে? সেই খবরই নিজের ডানায় নিয়ে পাড়ি দেয় নীলকণ্ঠ পাখি। সে চলে গেলে, তারপর বিসর্জনের উদ্দেশ্যে বের হয় প্রতিমা। বহু বছর ধরে বনেদি বাড়িগুলোয় এই প্রথা চলে আসছে।
আরও পড়ুন-এবার লোডশেডিংমুক্ত দুর্ঘটনাহীন দুর্গাপুজো
সে-ই নিয়ে যাবে উমার সপরিবারে কৈলাস গমনের সংবাদ। তারপর, আবার একটি বছরের অপেক্ষা। আসছে বছর আবার তো হবে।
মায়ের পুজোয় নীল রঙের মাহাত্ম্য
দুর্গাপুজোর সঙ্গে নীল রঙের অনুষঙ্গ যেন বারবার মিলে যায়। দেবীদুর্গার বিসর্জনে নীলকণ্ঠ পাখির গুরুত্ব অনেকখানি।
মহাদেব বিষ পান করেছিলেন, তাই তাঁর অপর নাম নীলকণ্ঠ। সেই থেকে নীলকণ্ঠ পাখিকে মহাদেবের দূত হিসেবে ধরা হল রূপক অর্থে। এগুলোর কোনও ইতিহাস থাকে না। এগুলো পরম্পরাবাহিত। লোকমুখে প্রচলিত। দুর্গা একই সঙ্গে অনেক রূপে, বিভিন্ন অবয়বে আমাদের কাছে হাজির হন। দুর্গা দশপ্রহরণধারিণী, আবার মঙ্গলময়ী মা এবং তিনি বাংলার আপামর গৃহস্থের কাছে অত্যন্ত কাছের মেয়ে, যাঁকে উমা নামে ডাকা হয়। উমা যখন মর্ত্যে কয়েকটা দিন কাটিয়ে সন্তানদের সঙ্গে করে শ্বশুরবাড়িতে ফেরেন, সেই খবরটা শিবকে গিয়ে জানায় একটি নীলকণ্ঠ পাখি।
আরও পড়ুন-‘গোলি মারো শালোকো’ এত দ্রুত ভুলে গেলেন কী করে বিবেকবাবুরা?
এই বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বিসর্জনের প্রথা অনুযায়ী, সেই লগ্নে একটা বা দুটো নীলকণ্ঠ পাখি নদীর ঘাটে উড়িয়ে দেওয়া। বিখ্যাত জমিদার সাবর্ণ রায়চৌধুরির পরিবার আজও তাঁদের বাড়ির প্রতিমা বিসর্জনের সময়ে দুটো নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ায়।
নীলকণ্ঠ পাখির প্রসঙ্গেই বলি, নীল রংটা যেন দুর্গাপুজো ও দুর্গার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বিসর্জনের আগে হয় অপরাজিতা পুজো। অপরাজিতা ফুলের রং নীল। যদিও সাদাও হয়। এই অপরাজিতা হল দুর্গার আরেক নাম, আরেক রূপ। প্রথাগত দশ হাতের নন, অপরাজিতা দুর্গা হন চতুর্ভুজা, গায়ের রং ঘন উজ্জ্বল নীল। পুরাণমতে দুর্গাকে অপরাজিতা বলার কারণ হল, তাঁর পরাজয় হয়নি, যেহেতু তিনি মহিষাসুর দমন করেছেন। কিন্তু তাঁর সঙ্গে অপরাজিতা ফুলের রূপকল্প মিশে গিয়ে তাঁর গায়ের রং নীল হয়ে গেল, লোকবিশ্বাসের মজা এখানেই।
আরও পড়ুন-আমার মতই বোহেমিয়ান আমার দূর্গা
এ-ছাড়াও দেবী দুর্গার সঙ্গে নীল রঙের অন্য অনুষঙ্গও আছে। অকালবোধনের কারণটিতে এই অনুষঙ্গ নিহিত। কিন্তু সেটি আছে কৃত্তিবাসের রামায়ণে। বাল্মীকির লেখা মূল রামায়ণে এই কারণটি নিয়ে কিছু উল্লেখ করা নেই। সে-অর্থে বাঙালির দুর্গাপুজোকে, যা শারদ-উৎসব নামেও জনপ্রিয়, তাকে আচার-আচরণ সমেত তাঁর কাব্যে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন স্বয়ং কৃত্তিবাস। দেবীকে তুষ্ট করার জন্য বিভীষণ রামকে পরামর্শ দেন, যে, তিনি ১০৮টি নীলপদ্ম এনে দেবীর পুজোয় যেন অর্পণ করেন। রামভক্ত হনুমান সেই ১০৮টি নীলপদ্ম তুলে নিয়ে এল। পুজোর সময়ে দেখা গেল একটি পদ্ম কম পড়ছে। অথচ ১০৮টি পদ্ম না হলে দেবী তুষ্ট হবেন না। তখন রাম নিজের পদ্মলোচনের একটিকে পুজোতে অপর্ণ করার জন্যে প্রচেষ্ট হলেন। এই সময়ে দেবী আবির্ভূতা হন আর বলেন তিনিই রামের ভক্তি পরীক্ষা করার জন্যে একটি নীলপদ্ম সরিয়ে রেখেছিলেন।
দুর্গাপুজোর নানা প্রথায়, আচারবিধিতে, গল্পে, নীলরঙের এই উপস্থিতি অনস্বীকার্য। পুজোর ক’টা দিনে সাধারণ মানুষের কাছে সেই নীল রং-ই কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আকাশ পরিষ্কার থাকলে, মেঘলা না হলেই, নীল। পুজোয় বেড়ানোটাও তখন বৃষ্টি-বিঘ্নিত হয় না। স্বচ্ছ নীল আকাশের তলায় দেবীর নীলরঙের ছায়ায় প্রাণবন্ত থাকে পুজোর মরশুম।
আরও পড়ুন-পুজোয় সোনাদা খুঁজবে কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন
এই নীলরঙের আদানপ্রদানে একটা বইয়ের কথা উল্লেখ করতেই হয়, বইটার নাম ‘বিস্ট অ্যান্ড ম্যান ইন ইন্ডিয়া’। লেখক জন লকউড কিপলিং। ১৯০৪ সালে লন্ডন থেকে বইটা প্রকাশিত হয়েছিল। বইটার ৩৩ পৃষ্ঠায় লেখা আছে, ‘দশেরার দিনই হল প্রকৃত বিজয়া দশমীর দিন। শরৎকালের দুর্গাপুজো কিন্তু আসল দুর্গাপুজো নয়। রাজা কংসনারায়ণ চালু করার আগে দুর্গাপুজো হত বসন্তকালে। নীলকণ্ঠ ওড়াবার রীতি ছিল আসলে দশেরাতেই।’ কিন্তু দশেরার সঙ্গে নীলকণ্ঠ বা শিবের কী সম্পর্ক!
আসলে, নীলকণ্ঠকে পৃথিবীতে শিবের প্রতিনিধি ও স্বরূপ, দুই-ই মনে করা হয়। জনশ্রুতি অনুযায়ী, নীলকণ্ঠ রূপ ধারণ করেই শিব মর্ত্যে বিচরণ করেন।
আরও পড়ুন-ইতিবাচক বৈঠক এসএসসির
‘বিস্ট অ্যান্ড ম্যান ইন ইন্ডিয়া’ অনুসারে, নীলকণ্ঠ আসলে বিষ্ণুর প্রতীক। কিন্তু বিষ্ণু তো ‘নীলকান্ত’, তিনি নীলকণ্ঠ কীভাবে হলেন! আসলে এটি মহারাষ্ট্রের প্রথা। তাঁরা নাম লেখেন টি+এইচ দিয়ে। এই স্টাইলে আবার রয়েছে দক্ষিণী ধাঁচ।
আবার, উত্তর ভারতের মানুষের মুখে এমন কথাও শোনা যায়, ‘‘নীলকণ্ঠ তুম নীল রাহিও, দুধ ভাত কা ভোজ করিয়ো, হামরি বাত রাম সে কহিও।’’ অর্থাৎ নীলকান্ত তুমি নীল থাকো, দুধভাত খাও এবং রামকে আমাদের সম্মান জানিও।
প্রাচীন প্রথা অনুযায়ী, মূলত বনেদি বাড়ির পুজোতেই নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানোর রেওয়াজ ছিল। তবে বর্তমানে সেই সব বাড়িতে নীলকণ্ঠ পাখির মূর্তি বানানো হয়। তাই দিয়েই পালিত হয় সাবেক রীতি। শুরু হয় আরও একটি বছরের অপেক্ষা। শারদ আকাশে মন চলে যায় নীলকণ্ঠ পাখির খোঁজে।